গাঁড় মারি তোর মোটরগাড়ির
গাঁড় মারি তোর শপিং মলের
বুঝবি যখন আসবে তেড়ে
ন্যাংটো মজুর সাবান কলের
ফাটবে মাইন চতুর্দিকে
গলায় ফিতে নেংটি বেড়াল
তার বরাতেই ছিঁড়বে শিকে।
কি কান্ড বলুন দেখি; শ্রী বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পোষ্টটা করার পর বলে এবং লিখেছিলুম যে, আমার মতে, তাঁর উত্তরসূরীর কথা পরের পোষ্টে লিখবো; আর পরে কিনা অন্য কথার ঢল নেমেছে ! সত্যি কথাটা বলেই নিই, আদতে মনে ছিলো না, অর্থাৎ ভুলে মেরে দিয়েছিলুম। বেটার লেট দ্যান নেভার, এখন তো মনে পড়েছে।
নবারুণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার বেশী দিনের পরিচয় নয়, কিংবা হয়তঃ অনেকদিনের (পুরো বাক্যটাই শ্রী শহিদুল জহির থেকে গ্যাঁড়ানো)।
বেশ কয়েকটা আগের পোস্টে দেওয়া কবিতাদুটোর মধ্যে, শেষের কবিতা; ল্যে, ঠ্যালা সামলা, আবার রবীন্দ্রনাথ চলে এলো, যাই, বাদ দিই গে; - দ্বিতীয় কবিতার শেষ লাইনে ‘ধ্বংস করো’ –এর রেশটা নিশ্চয়ই এখনো মিলিয়ে যায়নি? সেই রেশটার জোশটা নিয়ে শ্রী নবারুণ ভট্টাচার্যের এই কবিতাটা, যেটা ওপরে, পড়লে সম্ভবতঃ ব্যাপারটা, আর কিছু না হোক, বোধহয় আরো খানিকটা খোলতাই হবে, এমনতর ধারণাটাই পোষণ করি আমি। তা, আমার ব্লগ, ধারণা আমি পোষণ করবো না তো ও পাড়ার পেচোঁ করবে নাকি !
কবিতাটা কোনো ব্যাখ্যার তোয়াক্কা রাখে না, অ্যাতোটাই ডিরেক্ট। এই কবিতার কোনো অংশ তুলে ‘ভাব সম্প্রসারণ করো’ বলে, টুলো পন্ডিতবামুন, ক্লাসরুমের চেয়ারে বসেই একটিপ নস্যি নিয়ে, খান পাঁচেক হাই তুলে যে ঢুলতে থাকবেন, সেই সম্ভাবনার গাঁড়টাও অন্ততঃ মেরে দেওয়া হয়েছে।
নিজের পোঙার ফুটোয় হাত রেখে, না, জাতীয় সংগীত গাওয়া নয়, পাবলিকের গাঁড় মারা যাক কিন্তু আমারটা অক্ষত থাকুক, এই আরবান কনসেপ্ট নিয়ে বলি যে, কেন এই ‘অশ্লীল’ (কোটেশন দিলাম এই কারণে যে পরে এটাকে নিয়ে আমার, নাহ, আমার নয়, মৌলিকতার ধারণা অনেকদিন আগে থেকেই তামাদি হয়ে গেছে, সবই একে অন্যের প্রভাবে) শব্দের আনাগোণা, পার্টিক্যুলারলি, শ্রী নবারুণ ভট্টাচার্যের লেখায়, তার একটা ব্যাখ্যা, যেটা আমি ভেবেছি, আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি; - শ্রী নবারুণ ভট্টাচার্য প্রান্তিক মানুষের ভালো থাকা, একটা ন্যূনতম জীবন, যেখানে পান্তাভাত, পিয়াঁজ আর আলুচোখা নয়, একটু পুষ্টিকর খাবার, ‘ফাটা ছাদ? জল পড়ে? এম সিল নিয়ে আসুন’ এর জায়গায় একটু উচুঁ জায়গায় একটু ভালো আশ্রয়, যেটা বৃষ্টির জায়গায় ব্যাঙয়ের মুতে বানভাসি হবে না, যেখানে ফি বছর ছাদ ছাইবার খড়ের জোগাড় করতে গিয়ে প্রাণান্ত হবে না, মিনিমাল কম্বল, অপরাপর শীতবস্ত্র, বর্ষাতি, এগুলোর সঙ্গে লি, লিভাইস, ইউ এস পোলো, ৬৫% লিনেন, ৩৫% কটন না হলেও ব্র্যান্ডহীন সুতির পোশাক, একটা ফাঙ্কশনাল হেলথ্ ইন্সিওরেন্স, লিম্যুজিন (হি ওয়াজ আ মীন ইন্ডিভিজুয়াল / হি হ্যাড আ হার্ট লাইক আ বোন / হি ওয়াজ আ ন্যাচার্যালি ক্রেজি ম্যান / অ্যান্ড বেটার অফ লেফট অ্যালোন / ওয়েল, হি স্টপড ওয়ান নাইট / অ্যাট আ ট্র্যাফিক লাইট / অ্যান্ড হোয়েন দ্যাট লাইট টার্নড গ্রীন / হি (হি ওয়াজ আ মীন ইন্ডিভিজুয়াল / স্ট্র্যান্ডেড ইন আ লিম্যুজিন – গানটার প্রথম ভার্সটা পুরো কোট করলাম এই কারণেই যে, এটা কি সেই রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে বলা যায়, যে রবীন্দ্রনাথ ফিকশন লিখেছেন?), অডি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, হার্ল্যি ডেভিডসন বাইক নয়, একটা সাইকেল, যেটা প্যাডেল করলে চলতে পারে, ব্রেক কষলে দাঁড়ায়; - এই-ই তো চেয়েছিলেন শ্রী নবারুণ ভট্টাচার্য। খুব বেশী কি চেয়েছিলেন?
আমরা যারা কোচবেহার গেলেই ঘটা করে তুলাইপুঞ্জী, আদারওয়াইজ, বছরভর দুধেশ্বর চাল খেয়ে থাকি, মাঝেমধ্যে, রাঁধুনির মুডানুযায়ী, বাসমতী চালের মূলতঃ পোলাও বা এক্সপেরিমেন্টাল ডিশ হিসাবে ফ্রায়েড রাইস খাই, তারা কি কোনোদিন খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, তারা কি খায়? তুলাইপুঞ্জী প্রসঙ্গে জানি বলেই বলছি, তারা জানেই না তুলাইপুঞ্জী চালের স্বাদ, গন্ধ; আর এটুকু জানি যে, তারা আমন নয়, আউশ ধানের চাল খায়, যাতে পেট ভরে কিন্তু যাতে কোনো ফুডভ্যালু নেই; এমনকি কার্বোহাইড্রেটও সিগ্নিফিকেন্টলি কম।
মরুক গে, অশ্লীলতা প্রসঙ্গে আসি। সেদিন ফেসবুকে আমারই একটা পোস্টের প্রত্যুত্তরে আমার এক ইউনিভার্সিটির বন্ধু একটি কমেন্ট করে, কমেন্টটা রীতিমত অসঙ্গত হলেও পড়তে ভালো লেগেছিলো আমার, ও ফলতঃ, আমি, সেই বন্ধুটিকে আদর করে ‘বোকাচোদা’ সম্বোধন করে পাল্টা কমেন্ট করি। কিছু পরে, জয়িতা অনুযোগ করে বসলো যে ফেসবুকের মতো ওয়াইড স্প্রেড সোশ্যাল সাইটে, যেখানে আমাদের মাস্টার্সের স্টুডেন্টরা পর্যন্ত রয়েছে, অফিসের সুপিরিওররা রয়েছেন, সেখানে কেন আমি ‘খিস্তি’ করছি? আমি পাল্টা জয়িতাকে শুধোই, কোনটা খিস্তি? – বোকা? না, চোদা? বলাই বাহুল্য, জয়িতার নীরবতা বলেই দিচ্ছিলো কোনটা কোন রঙ। আমি অতঃপর বলি, যে, প্রথমতঃ ফেসবুক কোনো শিক্ষালয় বা কর্মক্ষেত্র নয়, এটা অবসর কাটানোর একটা ভারচুয়াল কমিউকেশন, এক্সপ্রেশন অফ থটস-এর জায়গা। এখানে না আছে বিদ্যায়তনের রুলবুক, বা অফিস ডেকোরাম; এখানে আছে একটা স্পেস, যেখানে, কারোর ইচ্ছে হলে, মুখোশ খুলে রেখে দু দন্ড বসতে পারে। আমি অ্যাতোটা বলার পর আমার জয়িতাকে আবারও শুধোই, যে, কোনটা খিস্তি, বোকা? না, চোদা? আবারও সেই অরবতা, যা রঙ চিনিয়ে দেয়; অতঃপর আমাকে কথা পাড়তে হয় যে, চোদা শব্দটা যদি খিস্তিই হবে, তাহলে তো অমৃতের পুত্র-কন্যা সবাই খিস্তিজাত। সেক্সোলজিস্টের কাছে গিয়ে ইন্টারকোর্স বলতে তো আমাদের অসুবিধা হয় না। কপ্যুলেশন, ফরনিকেশন, অ্যাডাল্টারি – এগুলো সব ঠিক, শুধু চোদাটা গালাগাল? আমাদের স্যসুর মশাই (আঁই বাপ); সিগ্নিফায়ার, সিগ্নিফায়েড এবং সিগ্নিফিক্যান্সের যে কনসেপ্টটা আমাদের দিয়েছিলেন (সে কি আজকের কথা লো? সেই সে, যার নাম ১৯২০ সাল, তাও পসথুমাস) সেটা কি বলছে? – আরে বাবা, আগে মানুষ বাঘ দেখেছে, দেখে বুঝেছে যে, এ বানচোত খুবই বিপদজনক প্রাণী, একে তো শিকার করা যাবেই না, তার চেয়ে এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো যে, এ মালটাই, বেশী চুদুরবুদুর মারাতে গেলে, শিকার করে নেবে, অতএব, সহজনেদের সাবধান করে দেওয়াটাই একান্ত প্রয়োজন; তারপর বাঘ বলে ধ্বনি দিয়েছে, তারপর বাঘ এঁকেছে, তারপর বাঘ শব্দের ওপর সুর বসিয়েছে, তারপর বাঘ বলেছে এবং সবার শেষে বাঘ লিখেছে। অর্থাৎ বাঘ বলা মানে ওই বাঘের ছবিটা, তার হিংস্র ভয়ালতার ছবিটা দেওয়া। ভাবুন দিকি একবার, এর পরে কতোগুলো লেয়ার ডিঙোতে হয়, ওই ছবিটা পেতে গেলে ! আর ব্যাকরণ কি করে? – আমার মতে, কিছুই না; শুধু মানুষের বলা সেই যে সেই বাঘকে ব্লাইন্ডফোল্ড অনুসরণ করে, এবং করতে গিয়ে তা, কিছু জোড়াতাড়া থিওরি দাঁড় করায়, অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, যার কোনোওও ভ্যালুই নেই। অন্ততঃ আমার কাছে।মানুষের কাছে অনেক, অনেক পরে গ্রামার এসেছে। তার বহু আগে থেকেই বাঘবন্দী খেলা হয়ে আসছে।
কেউ যখন তুমুল খচে গিয়ে আমায় বলেঃ খানকির ছেলে (খানকি শব্দটা কিন্তু আদতে ফার্সি থেকে এসেছে, সেই খানোগী শব্দের অর্থ, সম্ভ্রান্ত মহিলা। কিন্তু বাংলায় এসে এই শব্দ প্রথমে বর্ণ পরিবর্তন হয়ে (এই বর্ণ পরিবর্তনের পিছনেও কিন্তু সেই অপিনিহিতির হাতছানি), তারপর তার একটা ধ্বন্যালোপ হয়েছে এবং অতঃপর, ফের, অপিনিহিতি হয়ে আজ, ‘খানকি’ শব্দে এসে পৌঁছেছে। হরিচরণে এর ইশারাটা স্পষ্টই পাবেন। এটা আমার আন্দাজ, যে, যখন এই বর্ণ পরিবর্তন, ধ্বন্যালোপ, অপিনিহিতি চলেছিলো, তখন কিন্তু টিজার, মোর স্পেসিফিক্যালি, ব্যাঙ্গার্থেই ব্যবহার হতো এই শব্দের।
যাই হোক, ব্যাক টু দ্য ইস্যু, যখন, কানে আসবে যে তাকেই উদ্দেশ্য করে কেউ বলছেঃ খানকির ছেলে, তোর মাকে চুদি, তখন তার, ওই, ফিক করে হেসে ফেলা উচিত। অন্ততঃ আমি তো জেনের্যালি (জেনের্যালি বললাম এই কারণেই যে, পরিপ্রেক্ষিতকে তো মগজে রাখতে হয়, কন্টেক্সট ছাড়া এই মরপৃথিবীর কোনোকিছুই কোনো অর্থই বহন করে না) রাগিই না, বরং হেসে ফেলি। তারপর হেসে নিয়ে, যাকে বলে, চাকল্ করে, ফের ভাবা শুরু করা উচিত; - আপনাদের কাছেই প্রশ্ন রাখলাম, কি করে বারুইপুর অনওয়ার্ডস দক্ষিণে গেলে, ‘সোগোমান্নি’ শব্দটা কানে আসে। সম্ভবতঃ আপনার অনুভূতিতে ধরা দেবে কি এক্সটেন্টে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাউদার্ন ইন্টেরিয়রে অপিনিহিতি হয়; ঘটিদের এটা মার্কড ট্রেইট। প্রসঙ্গতঃ, স্মৃতি তো মাঝেমধ্যেই ককেটিশ আচরণ করে, আর কার সঙ্গে করে কিনা জানি না, তবে আমার সঙ্গে নির্ঘাত করে); তো যদি সেই ছিনাল স্মৃতি আজ সাথ দেয়, তো, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কুয়োতলা উপন্যাসে এই শব্দের, এই বানানবিধিতেই প্রয়োগ আছে।
সেই এরমধ্যেই বহুবার বলা, ফিক করে আমার হাসার পিছনে যে থিওরাইজ করা ব্যাপারটা, ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে কাজ করে, সেটা হলো, যা, পারলে, গিয়ে, চোদ। আমার মাকে। তবে হ্যাঁ, একটা জিনিস কিন্তু ক্লিয়ার করে দিই, আমি কিন্তু সেখানে থাকবো এবং বাধা হয়ে দাঁড়াবো। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য, একটা রণাঙ্গন কিন্তু ইন্ডেস্পেন্সবল হয়ে দাঁড়াবে। যে জিতবে, ট্রফি তার। আমার ক্যানসারে ভোগা বুড়ী মা। কিন্তু সেই যুদ্ধে, যদি, আমি জিতি, তবে, ওই ঠাটানো বাঁড়া কিন্তু, আল্টিমেট্লি, নতমুখ নুঙ্কু (আচ্ছা, কেউ কি আমায় এটা বলে সাহায্য করতে পারবেন, যে, শ্রী শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় – এই দুই চাটুয্যের মধ্যে কে আগে এই শব্দটা ইউজ করেছিলেন? আমি শ্রী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে একবার জিজ্ঞাসা করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং করেওছিলাম, প্রশ্নটার কথা বলছি, উত্তরে, তিনি, মিটিমিটি হেসেছিলেন, বাস), হয়ে যাবে।
তো, তো কি? – তো, এই ছিলো মোটের ওপর আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং, শ্রী নবারুণ ভট্টাচার্যের ওপর। কোনো লেখা ধরে আলোচনা যে করবো না, সেটা আমার আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো; তবুও... হারবার্ট উপন্যাসটা অবশ্যপাঠ্য, না পড়লে, ওপরে যাওয়ার পর কিন্তু জবাবদিহি করতে হবে।
জানি আরো কিছু কথা বলার ছিলো, কিন্তু, লেখার বেগের চোটে (যেন পাতলা দাস্ত), বলতে ভুলে গেলাম। তা’ একটা প্রসঙ্গে বলতে বসে সবকিছু বলে উঠতে পারবো, এমন গ্যারান্টি, ‘কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি, সকল গ্যারান্টির রানি সে যে, আমার ভারতভূমি...’
- - ভাই, এবার তো থাম।
- - ওকে, বস।
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
(এডিটেড)
No comments:
Post a Comment