মন কিছু তেমন বলে নি, তেমন কিছু শোনেও নি, তবুও, এরকম কিছু কথাও থেকে যায়। মন যখন আড়মোড়া ভাঙে, তখন কেউ এসে, মননের মানে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। আঁখির পলকের পেলবতায় স্বপ্নরা ঘুমিয়ে আছে, কামনার ধাক্কায় সে নাব্যতা কোনোদিন যেন না হারায়। ইচ্ছাগুলোর শীতল অক্ষিপল্লব খুলে গেলে যেন কেউ শাপ না দেয়।
মনের কুশলতার জন্যই মিথ্যে চমক, মিথ্যে লেখালিখি। জীবন যেখানে ফাঁকাই রয়ে গেলো; সবাই ভেবে নিলো, যে, বসন্তের আবহাওয়া ঠিকরে পড়ছে! ফুলেদের কাছে গিয়ে কেউ কি জানতে চায়, যে, তাদের মুখে, ওগুলো কি হাসির গুঁড়ো, নাকি, চোখের তলায় চুপটি করে বসে আছে জলের ফোঁটা!
❝রাতের সুর মন্থনে বসে হাড়ে ও মজ্জায়
নারীকন্ঠের ওই বিষাদ আঁধারে জুড়ায়!
বন্ধ দরজার নীচ দিয়ে কবির ঘরে আলো
বলো, এই দাহতেও কি লিখিত হচ্ছে, বলো
একটা সময় নাকি আসবে
মানুষ মানুষকে ফিরে পাবে
ভেসে যাবে শবদেহের সঙ্গে আসা ঘুমন্ত সব ফুল
ভুলের মাশুল শেষে সময় হয়ে উঠবে তীক্ষ্ণ, নির্ভুল
তার আগে অবধি এই আহত অব্যক্ত গান
সফল ঘুম বাদ দিয়ে এ শুধুই কবির শব্দস্নান
রাতের কবিতা ব্যর্থ বসেছে মননে ও মেধায়
মেয়েমানুষের গান এইসব রাতে শীৎকার শোনায়!❞
(দহনগাথা)
কৃতজ্ঞতাঃ ক্যয়ফি আজমী
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment