Friday, October 21, 2022

Annie Ernaux সম্পর্কে দুটো – একটা কথা যা দুটো – একটা ভারতীয় জানে

 

আমার এক ছোট্ট অনুজা-প্রতিম বন্ধু, শ্রীময়ী প্রধন্যা (ফেসবুকে, তাঁর প্রোফাইলে, তিনি লেখেন এইভাবেঃ প্র ন্যা); না, না, প্রধন্যা নোবেল পাননি, ওই মহৎ কমিটির সঙ্গে তাঁর ন্যূনতম পরিচয়ও নেই; কিন্তু, তিনি, চলতি বছরের নোবেল পাওয়া সাহিত্যিক, ফরাসী লেখিকা, Annie Ernaux; ফরাসী নাম কিনা, কোথায় ক্যোঁৎ পেড়ে গিলে নিতে হবে বুঝতে পারছি না; তাই উচ্চারণের সাহস না দেখিয়ে টুকে দিলুম; হ্যাঁ, যেটা বলছিলুম, সেই নোবেল বিজয়িনীর একটা উপন্যাস, Simple Passion পড়ে, শ্রীময়ী প্রধন্যা তাঁর অনুভব, যেমনটা তাঁর মস্তিষ্ক ধারণ করেছে, লিখিত হলো ফলতঃ, আমায়, আরো একটা জিনিস টুকতে হলো; - তাঁর ফেসবুক থেকে তাঁর লেখাটা, এটা, মনে হয়, তাঁর ব্লগাস্থিতও বটে

 

এবার বলি, পোস্টটা পড়ার পর, আমার মনে হলোচেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে যথা, এই প্রসঙ্গটাকে এমনি এমনি যেতে দেওয়া যায় না; কেননা, এই প্রসঙ্গে, খুব সম্ভব, আমারও কিছু বলার আছে একটা জীবন আমিও তো প্রায় বেঁচে এলুম; অতএব কিছু পারসেপ্শন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, আমারও আছে, যা একপ্রকারে, প্রায়, কহতব্য কিন্তু ব্লগে কেন, প্রধন্যা তো, ইনিশিয়ালি লিখেছিলেন তাঁর ফেসবুকে; - হ্যাঁ, ঠিক তাই; কিন্তু আমার বলার কিছু ছিলো না, কেসটা যে সেরকম নয়, সে তো আগেই বলেছি; কিন্তু তাঁর অনুভবজাত লেখাটা পড়ার পর আর এই বিপুল বেঁচে থাকার পর আমার যা কহতব্য, সেটা ওই কমেন্ট বক্সের পরিসরে আঁটতো না নেহাতই স্থান সংকুলানের জন্যই লেখাটাকে ব্লগে টেনে আনতে হলো আর সেক্ষেত্রে তো আমার ব্লগে দিতেই হয় প্রধন্যার লেখাটার কথা বলছি কপি করে নিয়ে পেষ্ট মারার কথা ব্লগ আবার কোটেড টেক্সট বলতে বাম ( লাল মলাটের কালো দাড়ি কাকু, খবর টবর সব ভালো তো?) দিক থেকে লেখাটাকে সামান্য সরিয়ে দেয় মানে, অতি বাম হতে দেয় না আর কি; যদিও আমি চেয়েছিলাম একটা ওয়ান কলাম অ্যান্ড ওয়ান রো টেবল্বানিয়ে, তার মধ্যে প্রধন্যার লেখাটাকে পুরে দিতে কিন্তু ওই, মানুষ প্রপোজেস অ্যান্ড ভগবান ডিস্পোসেস তবে? তবে আর কি? - প্রধন্যার লেখাটা সেটা এই যে, নীচে, পুরোটা

 

 

এক তীব্র চোরাস্রোতের শান্ত ধারায়...

=============================

“When I was a child, luxury was fur coats, evening dresses, and villas by the sea. Later on, I thought it meant leading the life of an intellectual. Now I feel that it is also being able to live out a passion for a man or a woman.”

উপন্যাস বা উপন্যাসিকা, যেটাই হোক না কেন, পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, LOVE এবং PASSION --- এদের মধ্যে পার্থক্য কি? যৌনতায়? ফলে, ‘প্রেমএবং গভীর আসক্তির মধ্যে একটি অনেক উচ্চে স্থান পেল, এবং অপরটাকে আমরা নীচু চোখে দেখতে থাকলাম। এতএব, মানুষের মধ্যেই অপরাধবোধের একটা জায়গা প্রকট হয়ে গেল এই দুটি শব্দের প্রকৃতিতে।

অথচ, প্রথমটা ও দ্বিতীয়টার মধ্যে ফারাক মূলত কি, বলা কঠিন, যদি আমরা রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখি। যে সম্পর্কটার ওপর ভিত্তি করে একটা সেক্টতৈরী হয়েছে হিন্দু সমাজে, তার ক্ষেত্রেই আমরা দেখি প্রেম এবং যৌনাকাক্ষা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। চন্ডীদাস বা বিদ্যাপতি সাক্ষী। আমরা তার মধ্যে অপরাধ কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

মানুষের জীবনেও এমনটাই হয়। যাকে আমরা বিয়ে করি, এমন হতেও পারে, তার ক্ষেত্রে প্রেমাকাক্ষা জুড়তে পারলাম না, অথবা, কিছুদিন পরে দেখলাম, যা ভেবেছিলাম, তা নয়। এমতাবস্থায়, জীবনে যদি এমন কোন মানুষ মুহূর্তের জন্যেও আসে, যাকে আমি চেয়েছিলাম, সত্যিকারের চেয়েছিলাম, তাহলে কি হবে?

বাংলা সাহিত্যে এ নিয়ে অনেক কবিতা আছে, যার অধিকাংশেরই মূল কথা, সে ভেসে যায় --- প্রেমের জোয়ারে / ভাসাবে দোঁহারে---টাইপের। কিন্তু সত্যিই কি তাই হয়? না কি উক্ত লাইনগুলো কেবলমাত্র সেন্টিমেন্ট অথবা আবেগজনিত উচ্ছ্বাসের চরম বহিঃপ্রকাশ! মনে হয় না তা হয়। সহজ, সরল, স্বাভবিকভাবেই সম্পর্ক এগোয়। যদিও আমরা এর মধ্যেও কোথাও চাই এই সম্পর্ক যেন না ঘনিষ্ঠতর হয় আর --- “It was all infinite emptiness, except when we were together making love. And even then I dreaded the moments to come, when he would be gone. I experienced pleasure like a future pain. I longed to end the affair”,

তবুও, এই প্রেমের শুরুর পর্যায়ে সবকিছুই দেখা সম্ভব হয় উদারতার চোখে। প্রতিদিনের জীবনটাই হয়ে ওঠে রঙীন। অন্যকে আমরা বুঝতে পারি সহজেই। আমরা সহানুভূতিশীল হই। “I felt pain, sympathy, and compassion for other people. I understood the dropouts lying on benches, the clients of prostitutes, or a passenger engrossed in her Mills & Boon romance…” তারপর একদিন শেষ হয়ে যায়। একটা আনন্দ-বেদনায় এর ইতি ঘটে।

Annie Ernaux–এর Simple Passion–এর ক্ষেত্রে কোন আবেগময়তার পরিণতি নেই, কোন যাত্রাপালা নেই, নেই কোন বিষাদময়তা। আছে শুধু একটা অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাটা শুরু করার সময় প্রথম লাইনটা পড়তে পড়তে জল খাচ্ছিলাম, বিষম খেলাম, যা আমার কোনদিন হয় নি। কেন?

“THIS SUMMER, for the first time, I watched an X-rated film on Canal Plus.” –আর তারপরেই, সে কি বর্ণনা না রে বাবা! অভিজ্ঞতার এমন চরম পর্যায়কে এমন অবেগহীন হয়ে বলা যেতে পারে? পারে। Annie Ernaux পেরেছেন। অর্থাৎ, একটা প্যাশানের মধ্যে যৌন উন্মত্ততা যে থাকতে পারে, আছে, শুরুতেই তাকে বর্ননা করা, অবিশ্বাস্য বৈ কি!

আসলে তার কাছে যৌনতাটা তার এই সঙ্গীর সাথে কমিউনেকট করার সুপ্রাচীন পন্থা মাত্র। সেটাই কি সব? না তো! তারপরেই Annie বর্ননা দিচ্ছেন, তার অপেক্ষার মুহূর্তগুলি, প্রেমিকের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো, এবং প্রশ্ন করছেন নিজের ভেতরের নিজেকে,

“It would only last for a few hours. I never wore my watch, removing it just before he arrived. He would keep his on and I dreaded the moment when he would glance at it discreetly. When I went into the kitchen to get some ice, I would look up at the clock hanging above the door: “only two more hours,” “only one more hour,” or “in one hour I’ll be here and he’ll be gone.” Astonished, I asked myself: “Where is the present?”

সত্যিই তো, তার আসার খবর পাওয়ার পর থেকে অপেক্ষা আর তারপর তার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো --- সবই তো আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে কেটে যায়। এই বুঝি সময় চলে গেল। আর ধরে রাখা গেল না তাকে। সে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে? এবং তারপর? সে চলে যাওয়ার পর ইচ্ছে করে না ইতস্তত, বিক্ষিপ্ত, আলুথালু ঘরটাকে সাজাতে। কারণে সেই বিশ্রস্ততার মধ্যেও যে আছে তার ছোঁয়া।

“As soon as he left, I would be overcome by a wave of fatigue. I wouldn’t tidy up straight away: I would sit staring at the glasses, the plates and their leftovers, the overflowing ashtray, the clothes, the lingerie strewn all over the bedroom and the hallway, the sheets spilling over on to the carpet. I would have liked to keep that mess the way it was—a mess in which every object evoked a caress or a particular moment, forming a still-life whose intensity and pain could never, for me, be captured by any painting in a museum. Naturally I would never wash until the next day, to keep his sperm inside me.”

আর যখন অবশেষে সে চলে যায়, চিরকালের মতো? জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। আর কয়েকটা দিন থাকতে পারল না? কেন, কেন, কেন??? তারপরে? তারপরেও সে উঠে বসে, দাঁড়ায়, চলে, হাঁটে, ঘুরে বেড়ায় --- সময় লাগে বটে --- কিন্তু সময়ই একদিন এই সম্পর্কের তীব্রতাকে ফিকে করে দেয়। পড়ে থাকে একটা অভিজ্ঞতা।

এ ঠিক যেন কবিতার মতো। আর কবিতাটা? নদীর মতো। যে নদীর স্রোত আছে, কিন্তু দেখা যায় না। চোরাস্রোত আছে উদ্দামতার, কিন্তু তাও অনেক ভিতরে, বাইরে তার কোন উথাল পাথাল নেই। এই নদীর গভীরতার প্রেক্ষিত কেবল জোয়ার-ভাটার মতো। কখনও এর তীব্রতা বাড়ে, কখনও কমে, জীবন থেকে জীবনে... মানুষ থেকে মানুষেদেশ থেকে বিদেশে

======================

Simple Passion

Author: Annie Ernaux (France)

Translated by: Tania Leslie

Seven Stories Press

[BLOG LINK: https://pradhanna.blogspot.com/2022/10/blog-post_20.html]

 

সেই যে বলেছিলুম না, যে, অকস্মাৎ ভুলে যাওয়া রোগ চেপে ধরেছেআর কাকে? তার হাতের কাছেই তো এই অধম

কিন্তু আমাকেও তো বাঁচতে হবে, নয় কি? অতএব বুদ্ধি করলুম, একটু করে পড়বো, আর, মগজে, নাহ, আলাদা করে আবারও কারফিউ নয়, তো জারিই আছে; যেটা বলছিলাম, মগজে প্রশ্ন বা বলার মতো কথা (আমার?!) এলেই টুক করে লিখে রাখবো

 

আমাদের ফরাসী মেম ভয় পেলো কখন? -  যখন কিনা তার প্রেমিক তাকে বিচক্ষণতার সঙ্গে দেখছে, অর্থাৎ কিনা, মাপছে, মানে, নিরীক্ষণ করছেমেয়ে জাত বা ধর্ম এমনই টিপে টিপে পা ফ্যালেএজন্যই হুট বলতে ছুট, নিজেকে ষ্ট্রীপ করে না, পুরো নগ্নিকা হতে চায় না; প্রে হতে চায় নাdiscreet এর জায়গায় discrete হলে কি হতো? কিই বা হতো indiscreet হলে? আমার ধারণা, মেয়ে জাত বা ধর্ম indiscreet কে তবুও বা মেনে নিতে পারে, কিন্তু, discrete কে নয়আপনারা, মানে সেই দুষ্কর মানুষেরা, যাঁরা এই মালটা পড়ছেন, পারলে, একটা খুব পুরানো ইংরেজি গান, তখন আমার বাপ-কাকারা দেবানন্দের মতো টেরি কেটে...নাহ, এটা বড্ড পুরানো হয়ে গেলো; ওয়েল, আমার কাজিন দাদারা তখন কানঢাকা চুল নিয়ে অমিতাভ বচ্চন সেজে ঘুরে বেড়াতো কোনো এক অসূর্যম্পশ্যা জিনাত আমনের খোঁজে; গানটার নাম পার্ট টাইম লাভার, গায়কের নাম ষ্টিভ ওয়ান্ডার; ওখানে, discreet শব্দটার একটা বেশ ভালো ব্যবহার আছে; সতর্কতার শেষ কথা হয়ে মানুষ, অর্থাৎ পুরুষ - নারী উভয় জাত / ধর্ম, স্টেপেন উল্ফ (এই নামে আবার বনি এম -এর একটা গান আছে) সেজে দাঁড়িয়ে আছে গানের ওপারে, যে এস অফ স্পেডস আগে ফেলতে পারবে, সভ্যতার এই দো বিঘা জমিন সে জাত / ধর্মেরসভ্যতার, আদতে, কোনোও বর্ণ, রঙ, জাত, উপজাত, ধর্ম কিস্যু নেই, নিলামের বাজারে খেলা চলছে নিরন্তর, যে আগে এসে বুড়ী ছোঁবে, সভ্যতা তার

 

হেঃ হেঃ, এর--পর, লোকে হিঁদু মোল্লা প্রমুখ খুঁজতে যায়

 

আপনাদের মধ্যে যাঁদের পুরো মাত্রার, মানে, ফুলকোর্স সেক্সের অভিজ্ঞতা আছে, তাঁরা খেয়াল করে দেখুন, সেক্স করার অব্যবহিত পর মেয়ে জাত বা ধর্ম, পুরুষ জাত বা ধর্মকে জড়াতে চায়, ছুঁয়ে থাকতে চায়, কারণ মেয়ে জাত বা ধর্মের কাছে সেক্সুয়ালিটির গ্রাফ অনেক লম্বা, উচুঁ নিচু, তার dy/dx=0 হতে অর্থাৎ অপ্টিম্যালিটি আসতে সময় লাগে

 

আর পুরুষ জাত বা ধর্ম? তার তো ইজ্যাক্যুলেশন সম্বল; সেই সুদূর কৈশোর থেকে মাস্টার্বেশনের শুরু ইস্তক সে, সেটাকেই আল্টিমেট যেমন কিনা  ধ্রুবতারা, বলে জানেসে, বাধ্যতঃ, তখন, মেয়ে জাত বা ধর্মের ছোঁয়া এড়িয়ে পাশ ফিরতে চায়এখানে আমার মনে পড়ে গ্যালো চেতন ভগতের লেখা টু ষ্টেটস উপন্যাসের একটা বাক্য, যেখানে, পুরুষ চরিত্রটা বিস্ময়ে তাই জাগে, হয়ে ভাবছে, সেক্সটা প্রথমবার করার পর, কি আশ্চর্য সুন্দরভাবে, ভালন্যরেবিলিটিটা (এইখানে জয়িতা, আমায় বললো যে, বাড়ীতে খাওয়ার জল শেষ হয়ে গেছে, কারণ, আজ সকাল থেকেই জল তোলার মোটর ঠিকঠাক জল তুলতে পারেনি ওপরের ট্যাঙ্কিতে"মৈথুনরত প্রাণী আর লিখনরত অনিন্দ্য ঘোষকে ডিস্টার্ব করতে নেই” - প্রাচীন সোনারপুর প্রবাদআর জয়িতা জানেও সেটা, যে, ঘরে, আমার বসার ডেকচেয়ারে, ডি এন ডি অ্যাক্টিভেটেড করাই আছে; একবার সেই প্রবাদ ভেঙে দশরথের কি হাল হয়েছিলো, সেটাও সে জানে; তা সত্ত্বেও ডাকলো মানে সমস্যা গভীর, তারপর আমায় ছোটো একটা পজ নিতে হলো, ঠিক এইখানে, এর অব্যবহিত পর একটা সেমিকোলন থাকবে, তারপর থেকে আমি আবার লিখবো; কেননা, জলের ছেলেটাকে খুঁজতে যেতে হচ্ছে, অ্যাজ ইফ, সে যেন সেই উলঙ্গ রাজার ছেলেটা, যার সন্ধান আর দিতে পারবেন না শ্রী নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এই মর্মে অভিযোগ করেছিলেন শ্রী বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কারণ শ্রী নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মাইনে বেড়েছে); এনিওয়ে, চেতন ভগতোল্লেখিত, সেই ভালন্যরেবিলিটির শিফটিং হয়ে যায়, অ্যাতো দিন ধরে পিছুপিছু ঘোরা পুরুষ জাত বা ধর্মকে ছেড়ে আচম্বিত মেয়ে জাত বা ধর্মের দিকে ঢলে পড়ে আক্রম্যতা

 

আর বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস প্রভৃতিরা যাই বলে থাকুন না কেন, প্রেম এবং যৌনাকাঙ্ক্ষা আলাদা অববাহিকায় চলে, যেমন আপনি বিষয়ে আলাদা ধারণা পোষণ করতেই পারেন, কেননা, আপনার সেট আলাদা, আর, আমার সেটে আপনি বিলং করেন নাএবং সেই অববাহিকা তত্ত্বানুযায়ী, প্রেম আর গভীর আসক্তি - দুইয়ের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, কোনো উঁচু-নীচু নেই, পাপও নেই, পূণ্যও নেইফলতঃ স্প্লীটেড লাভকে ইদানীং মান্যতা দিতে বাধ্য হয়েছেন সাইকিয়াট্রিস্টরা, না দিয়ে উপায় কি? যাকে ভালোবাসি, তার কাছ থেকে সেক্সুয়াল গ্র্যাটিফিকেশন পাই না, ফলতঃ অন্যের কাছে যাইতার কাছে অ্যাতোদিন ধরে যাচ্ছি, কুকুর প্রসঙ্গ তুললে, স্বীকার করতে বাধ্য হই যে, হ্যাঁ, তার প্রতিও কিছু মায়া রয়ে গেলোঅতঃকিমস্প্লীটেড লাভ

 

এর কোনো ইতিই নেই; - ব্যাপারটা বোধহয় এইরকম যে, চলছিলো, তো, চলছিলো, এখন নেই, তো, নেইচোলে গ্যাছে (শেষ শব্দদ্বয়কে নিয়ে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের বেদনার অন্ত ছিলো না), সেই যে সেই, কিটু গিদওয়ানি যেমনটা বলেছিলো, তেমনটাসেখানে কোথায় বা আনন্দ আর কোথায়ই বা বেদনা !

 

একটা ছেলের কাছে প্যাশনের মধ্যে থাকা যৌন উন্মত্ততা প্রথমেই বলা খুব সহজ, কারণ, ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েই তার মধ্যের বাঘটা আঁখির আঠায় জড়িয়েছে, নট নড়ন নট চড়ন, অর্থাৎ সে প্রেমে পড়েছেকোনো একটা মেয়েরযেখানে দুজনেই স্মুথলি স্থবিরনিজস্ব জাত / ধর্মে

এখানে একটা কথা বলে রাখা বোধহয় ভালো বই মন্দ হবে না, যে, আমি, শ্রীযুক্ত অনিন্দ্য ঘোষের কোর বন্ধু-বান্ধবদের একটা গ্রুপ আছে, লিড রোলে আমাদের কত্তা, যাঁরা সুন্দরী মেয়ে খুঁজি পর্ণতেমনে পড়ে, ব্রাসিলের একটা সফটকোর টিভি সিরিজ, দ্য ষ্টোরি অফ অবলম্বনেই, ক্লদিয়া সেপেদাকে এক্সপ্লোর করার পর আমাদের তুমুল হইহল্লাআমাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো সবকটা এপিসোড খুঁজে আনার জন্যআমিও মহানন্দে গরু খোঁজা খুঁজে সবকটা এপিসোড জোগাড় করেছিলাম btjunkie থেকে, সুড়ঙ্গের পর সুড়ঙ্গ ভেদ করে, কারণ আমার মাথায় ছিলো একটা অন্য প্ল্যান, যে, সবকটা এপিসোড জোগাড় করতে পারলে প্রাইভেট টরেন্ট সাইটে আপলোডাবো, রেশিও অনেক বেড়ে যাবে, যেমন বেড়ে যাবে আমার ওই পর্ণসার্কেলের বন্ধুদের তৃপ্তিযদিও সেই গ্রুপের প্রত্যেকে জানতো আমি ঠিক ওভাবে পর্ণ দেখি না, দেখি না অর্থে, কোনো মেয়েরই কোনো গোপনাঙ্গ দেখি না, আমি ওয়েট করি মিড-লং শটের জন্য, মিড টপ লংয়েও আমার আপত্তি নেই, যদি সেখানে মেয়েটির চোখ এবং মুখ তথা ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন দেখা যায়আর তারা এও জানে যে, শ্বেতরঙা স্যিমেনের থেকে ব্লাডের রক্তিমাভা আমায় তৃপ্ত করেএখানে করে, তো, করে, এটা বলা যায় না, এটাই সেই জায়গা, যেখানে আমি নিজেকে ভয় পাই

 

তো, যে কথা হচ্ছিলো, পাতা ঝরার মরসুম এলে পাতা তো ঝরবেই, আবার অন্য কোনো কারণে, যেমনকিনা দামাল ঝড়, বা, পাখির ঠোঁটের ক্রমাগত ঠুকরানির ভাইব্রেশন, মানে, যা যা হয় আর কি, এই পৃথিবীতে, পাতা অকালেও ঝরেএকসময় নতুন পাতা গজায় কিংবা হয়তঃ গজায় না, জায়গাটা ন্যাড়া পড়ে থাকে গাছটার বাকী জীবনাবধিএরকমই সম্পর্ক তো উডল্যান্ডস নয়, যে, সেলসম্যান বলে উঠবেঃ মাইনাস পাঁচ তক ইয়ে ঝেল লেগা, মালিক (নতুন দিল্লীতে সব পোটেনশিয়াল বায়ারই মালিক, তা সে মুদির দোকান হোক বা উডল্যান্ডসের শো-রুম)কিন্তু সম্পর্ক? - এখানে দুটো আলাদা জাত / ধর্ম এসে মিলেছে; - এটা অনেকদিন টিকে গেলেই বরং আশ্চর্যেরএখানে জীবন দুর্বিষহ কি করতে হবে! - পুরানো সম্পর্কের জের? সে তো সুবোধ ঘোষ কবেই বলে গিয়েছেন পেয়ালা প্রসঙ্গ তুলে; - একটা র‍্যাকের একোণে, অপরটা অন্য কোণে

আর অ্যাদ্দিনে আমরা জেনে গিয়েছি যে হয় নতুন সম্পর্ক গজাবে, নচেৎ ন্যাড়া রয়ে যাবে বাকী জীবন

 

শেষ অনুচ্ছেদ এবং অবশেষে ফরাসী খুকু লাইনে এলো; হ্যাঁ প্রিয়তমা, সম্পর্ক এক বহতা নদীঠিক যেমন কিনা ভাষা; - লোকে পাড়ে বসে মাছ ধরে; ব্যাকরণ প্রসঙ্গ টানতে চাইছি আর কি; বুইলেন, কি, না বুইলেন?

তা সে ধরে টানি, বা না টানি, লোকে অবলা প্রশ্ন করেঃ একূল ভেঙে ওকূল তুমি গড়ো, যার একূল ওকূল দুকূল গেলো, তার লাগি কি করো?, তা সে প্রশ্ন করে করুক, কিন্তু, তা বলে, নদীকে মাপতে গেলেই মুশকিল; - আর কিছু হোক বা না হোক, হড়পা বান তো আসতেই পারে - কি হ্যায় কি নেহী? ব্যাকরণ ঠিক এই জায়গাটাতেই ভুলটা করে, আসলে সে তো মিয়্যার চাকর একটা, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে যথা, মালিকের পোঁদে পোঁদে ঘুরছে সেই ঘুর্ণনকালে, কখন যে তার প্যারাস্যাজিট্যাল লোবে, মালিকের পোঁদ মারার কথা জেগে উঠলো, সে নিজেও জানে না জানতে পারলে হয়তঃ নিজেকে সামলাতো, হয়তঃ আলটিমেটলি পারতো না, কিন্তু একটা প্রয়াস তো হতো; কিন্তু এই যে নতুন ইচ্ছে জেগে উঠলো, আর তাকে সামলাতে তার অক্ষমতা যে তাকে স্কুইড্করে, তাকেই প্র্যে বানিয়ে ছাড়লো, এটা সে বুঝলো কখন?না, যখন তাকে দেখে সারা ষ্টেডিয়াম হ্যা হ্যা করে হাসছে আর কালেক্টিভ চীৎকার উঠেছেঃ শালা ব্যাকরণ, তোর মাকে...

 

তবে ফ্রেঞ্চ মেমসাহেব যদি যৌনতা দিয়ে বেঁচে থাকা মেপে এই বোধি লাভ করে থাকেন যে, সম্পর্ক, যা কিনা বহতা নদী যথা, এখানে আন্ডার কারেন্ট বড়োই সুলভ, অর্থাৎ কিনা, সম্পর্কের জোড়ন-ভাঙন; তাহলে বলতে হবে, হেঃ হেঃ, মেমসাহেব, তুমি ভুল রাস্তা ধরে ভুল বোধি (ভুল, কেননা এখানে কি অক্সিদেন্তাল বা কি ওরিয়েন্তাল, নামকরণ একই কিন্তু ওই... আন্ডারকারেন্ট আলাদা) পেলে, জীবনটা বেকার কাটিয়ে বুড়ী হলেইউরোসেন্ট্রিজম খালি ছাড়া ভরা হাতে কোনোদিনই ফেরাতো না; নেহাত দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ দেখে ফেলেছে, তাই, মাঝেমধ্যেই, তার ব্যাপকতার অংশ হিসাবে শিল্পের কোনো কোনো অঙ্গনে ফুলকি ওড়ে

 

যদি জানতে চাও তুমি, ব্যথা তোমার কতটুকু, তবে ভারতীয় মূল্যবোধের কাছে জেনে নিও

 

কা তে কান্তা কস্তে পুত্রঃ
সংসারোয়মতীব বিচিত্রঃ |
কস্য় ত্বং বা কুত আয়াতঃ
তত্বং চিন্তয় তদিহ ভ্রাতঃ

 

 

 

 

 

 

 

পুনশ্চঃ সাধে কি আর বলি, সারাটা বিশ্ব মুক্তিমন্ত্র শিখেছে যে এই দেশের কাছে, সেও জেনে নেবে এই ভারতে কঠিন বজ্র তাও যে আছে...

 

...আর শূন্যের ধারণাটাও তো আমাদের দেওয়া, তাই নাযেখানে এসে যে কোনো বয়সের সব সম্পর্ক মিলেমিশে একাকার...

 

 

 

 

 

 

অনিন্দ্য ঘোষ ©

ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস

 

ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা সেইসব গানের অংশভুক সকলকে

 


No comments: