তাহলে যে কথাটা বলার ছিলো, সেটা বলেই ফেলি, অ্যাঁ?
গীতায় বহুবিধ কথাবার্তার মধ্যে, একটা কথার চুম্বক-সার হলো, সকল কর্মফল শ্রীকৃষ্ণের পায়ে রাখো, রেখে, জাস্ট, কাজটা করে যাও। অর্থাৎ ফলের আশা কোরো না (শোনো মন বলি তোমায়, সব কোরো...)। নেহাত আজ থেকে নয়; সেই ৮৯ - ৯০’র মাঝামাঝি থেকে একথা শুনে আসছি যেমত টেষ্ট-পেপার সলভ করা। আম, জাম, সিঙ্গাড়া, বুলবুলি মস্তক - কোনো কিছুরই আশা, যদি করে থাকো, তাহলেই, তোমার গাঁড়টি মারা যাবে।
(এই বানচোত অনিন্দ্য, আর হ্যাজ নামাস না, কিছু বলার থাকলে বল, নইলে হাওয়া কাটা)
ইয়ে, মানে হলো কি; আচ্ছা যাঁরা সাইকোলজি ব্যাকগ্রাউন্ডের, তাঁরা নির্ঘাত স্যাঁত করে (ফ্যাত ফ্যাত সাঁই সাঁই, ফ্যাত সাঁই সাঁই) করে বলে দেবেন যে, রিওয়ার্ড অ্যান্ড পানিশমেন্ট (আমি শিওর, অনেকে এই জায়গাটায় ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট পড়ে ফেলেই জিভ কাটবেন) থিওরিটার মূল প্রতিপাদ্যটা কি? কাজটা ঠিকমতো নামাও, নামাতে পারলে (টাইম কন্সট্রেইন্ট, কোয়ালিটি, কোয়ান্টিটি ইত্যাদিসমেত) প্রাইজ; আর না পারলে? – আজকের রাতের খাওয়া বন্ধ অর্থাৎ ওই, যাও, গাঁড় মারাও।
কিন্তু, প্রতিপাদ্যটা আমি ঠিক/ভুল যাই বলি না কেন; সমিস্যে আছে ইন সামপ্লেস এলস।
... ‘ফলের আশা কোরো না’ বনাম ‘রিওয়ার্ড অ্যান্ড পানিশমেন্ট’।
আচ্ছা, ছাড়ুন, ওসব বালের কথা। আচ্ছা, আমাকে এটা বলুন তো, মাসলো (এখানেও কেউ কেউ মারসো পড়বেন এবং পড়ে ফেলেই জিভ কাটবেন) যে থিওরি ওপাইন করেছিলেন, শুনেছি, যাঁরা HR এর নিয়ে MBA করেন, তাঁদের নাকি এটা অবশ্যপাঠ্য। আমি কিন্তু সঠিক জানি না, রিপিট, সঠিক জানি না; জাস্ট শোনা একটা কথা এখানে ফ্লোট করিয়ে দিচ্ছি। এনিওয়ে, সে যাই হোক না কেন; - পাঠ্য/অপাঠ্য, এখন, আমি, হায়ার্যারকি অফ নিডস এর কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। লাভ অ্যান্ড বিলংগিং অবধি বাদ দিচ্ছি; প্রশ্ন উঠতে পারে, কার পারমিশনে, উত্তরটা এইরকমঃ আমার নিজের পারমিশনে এবং ডিস্ক্রিশনে, ল্যাওড়া; কিন্তু, সেলফ এস্টিম আর সেলফ অ্যাকচুয়ালাইজেশন – এই দুটো ইনড্যেলেবল তথা দুরপনেয় (এখানে অনপনেয় লেখাই উচিত ছিলো, আমি একটু ইউফেসিজম করলাম; করলাম তো করলাম, তাতে করে কারোর পিতার নিম্নাঙ্গের ঘনকুঞ্চিত কেশগুচ্ছের একটাও ছেঁড়া গ্যালো কি গ্যালো না, সে ব্যাপারে আ’য়্যাম লিষ্ট বদার্ড), খোঁটা দুইকে বাদ দিই কি করে?
অথচ, মাঝে, মাধব দন্ডায়মান। একটা মানুষ কাজ করবে কিন্তু এক. ফলের আশা করবে না, দুই. কর্ম করে যেতেই থাকবে, অন অ্যান্ড অন, তিন. সকল কর্মের ফল যদি শ্রীকৃষ্ণের পায়ে রাখতে হয়, তাহলে আমি, চুতমারানি, কর্মটা করি কি করে? – আমার প্রাপ্তির ঘরে কি থাকবে? প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো
জানা -
আমার পোকা আর পোকার ঘর দুই-ই মারা গেছে। অলরেডি।
কারণ, ওয়ান্স এগেইন, কর্মটা করতে হবে এবং করে যেতে হবে, নিরন্তর। করতে হবে, সেই কর্মের কনটেক্সটে, সেলফ ফুলফিলমেন্টের নিড ছাড়া, ফারদার পার্সোন্যাল গ্রোথের নিড ছাড়া, সেই ওয়র্ক এক্সপেরিয়েন্সের পিকে থাকতে থাকেতেই, রইলো ঝোলা, চললো ভোলা বলে, নাহ, কোনো ফেড আউট নয়, স্ট্রেইট জাম্পকাট।
এ প্রসঙ্গে একটা কথা এখনই বলে নিই, কারণ, বিলম্বিত লয়ে, আমার মগজের মধ্যে প্রলয় ঘটে যায়। (দূর ঢ্যামনা) সেটা হলো, আপনারা যাঁরা এসব ব্যাপার নিয়ে গাঁড় ফাঁড় মারিয়ে থাকেন, মানে, যাঁরা কিনা পারঙ্গম, তাঁরা এরিক এরিকশনের পার্সোন্যালিটি ডেভেলপমেন্টের আটটা ষ্টেজ এবং তার আটটা ভার্চ্যু খেয়াল করে দেখবেন, কাইন্ডলি। সেখানে বলা কথার সঙ্গে এই ওপরে বলা কথাগুলো অর্থাৎ কিনা উপরোক্ত কথাগুলোর মূল সুরের মধ্যে একটা কোথাও যেন, সিমিলি আছে। সেটা এক্স্যাটলি কি সেটা আমি বুঝিয়ে বলতে পারছি না, বোধহয় পারবোও না, কোনোদিন; খুব সম্ভবতঃ, এটা উপলব্ধির ব্যাপার, অর্থাৎ অন্য ডোমেইনে আছে।
আর? আর কি বলার আছে, আমার? সর্বনাশের মাথায় পা, আমি আগের প্যারাগ্রাফেই অ্যাতো ভণিতা করে এলাম, আর এখনই কিনা বলতে হচ্ছে যে আমার আর কিছু বলার নেই !!!
হরিষে বিষাদ আর কাকে বলে...
অনিন্দ্য ঘোষ ©
কৃতজ্ঞতাঃ আমার
স্মৃতি, দ্য-খানকীয়েষ্ট-অফ-দ্য-খানকীজ।
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment