ভারতীয় হিসাবে, আমাদের দেশে, আইনমোতাবেক যা হয়, ভুল বা ঠিক, তাকে আপহোল্ড করতে হয়। এটাই দস্তুর।
আইনে ভুল থাকতেই পারে। লেজিস্লেচাররাও মানুষ, নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা নন। আর যে মানুষ কাজ করে, ভুল তারই হয়। একটা লোক জীবনে কখনোও ভুল করে নি, এই আপ্তবাক্যের অন্তর্নিহিত অর্থ একটাইঃ মানুষটা জীবনে কোনোদিন কোনোও কাজই করেনি। কিন্তু আইন আলাদা; আইনে কিছু ভুল থাকলে ভুলটাকে শুধরে দেওয়ার জন্য আপনি ওকালতি (জুডিসিয়্যাল অ্যাডভোকেসি) করুন, মানুষকে ভুলটা বা গুলো বুঝিয়ে সমবেত স্বর তৈরী করুন।
...কিন্তু যতক্ষণ না সেই ভুলগুলো শুধরে সঠিক হয়ে ফিরে না আসে, ততক্ষণ; ততক্ষণ ভুল ব্যাপারটাকেই, কম্বুকন্ঠে, ভুলটাকে গলা তুলে সমর্থন আর ভুলটাকে সঠিক পথে আনয়নকে এক্সপিডাইট করার প্রয়াস; - এই দুটোকেই ইন্সেস্যেন্টলি আপনাকে করে যেতে হবে।
শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস।
প্রজাকে না হয় বুঝলাম, তা রাজা কই গেলেন? নাকি, এখন একজন নয়, মাল্টিপল রাজা (রানীও বটেন)?
বহু, বহুদিন আগে এক বিকেলে, তখন, বাবর বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিলেন আর আঁক কষছিলেন যে, ভারতবর্ষকে আক্রমণ করলে রিস্ক কি কি আর রিটার্নই বা কি কি?, তা সেই সময়ের একটা সিনেমা, অলগ অলগ, এর একটা গানের দুটি চরণ ছিলো নিম্নরূপঃ
...মুঝে দুশমনি নে লুটা
মুঝে দোস্তি নে মারা...
তা গণতন্ত্র যদি এই গানটা গাইতে বসে, তাহলে কি গাইবে?
মুঝে সোশ্যালিস্ট নে লুটা
মুঝে রিপাবলিক নে মারা
নাকি
মুঝে রিপাবলিক নে লুটা
মুঝে সোশ্যালিস্ট নে মারা
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment