অনেকে আমায় ফোনে না পেয়ে বিরক্ত হতে হতে মেসেজ করে বলেছেঃ শালা শুয়োরের বাচ্চা, কার ** (স্ত্রী চিহ্নবোধক শব্দ, 'গ' দিয়ে শুরু, শব্দটার উৎপত্তি নিয়ে আমার সংশয় আছে, এক ন্যারেটিভে শুনেছিলাম এটা পর্তুগিজ শব্দ, মানে এক, কিন্তু অপভাষা অর্থে একেবারেই নয়; কিন্তু ইন্টারনেটে পর্তুগিজ ডিকশনারি এবং নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্ল্যাং ডিকশনারি খুলে, হারিয়ে যাওয়া গরু খোঁজা খুঁজেও সমধ্বনির শব্দ আমি পাইনি; শেষে মরীয়া হয়ে এক সিনেমা সাইটের তিনজন পর্তুগিজ বন্ধুদের আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসা করি এবং নিশ্চিত হই কাছাকাছি ধ্বনির কোনো শব্দ ও ভাষায় নেই, পর্তুগিজ ডিকশন নিয়ে এই ন্যারেটিভকে বাতিল করা যায়; আর একটা কোনো মিডল ইস্টের দেশের, এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না কোন দেশের ভাষা, মনে পড়লে এডিট করে জানিয়ে দেবো, কাছাকাছি উচ্চারণের শব্দের মানে গহ্বর এবং বাংলায় এ' শব্দ ভীষণ পুরানো, অনেক কাব্যে এর ব্যবহার আছে এবং তার একটারও অর্থ স্ত্রী চিহ্ন নয়। এ নয় যে আমার শব্দের বাছ বিচার আছে; আমি অশ্লীল শব্দের উৎপত্তি না জেনে সাধারণতঃ ব্যবহার করি না, তাই অ্যাস্টেরিক মার্ক দেওয়া; নচেৎ, শুয়োরের বাচ্চা শব্দের মানে মনুষ্যেতর প্রাণী। একমাত্র মানুষের মধ্যেই অজাচার বা ইনসেস্টের কনসেপ্ট আছে, মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর বাচ্চা বলা মানে? - হ্যাঁ, ঠিক তাই, মাদারচোদ, বেটিচোদ ইত্যাদি ইত্যাদি; এহঃ, সাতসকালে কিসব কথা; একটু আগে ব্রহ্মমুহূর্ত গত হয়েছে! ছিঃ, অনিন্দ্য ! অন্তরাত্মা বকছে, তাই এ প্রসঙ্গ ছাড়বার আগে একটা কথা বলে যাইঃ বহেনচোদ আর বানচোত কিন্তু প্রয়োগে সম্পূর্ণ আলাদা, উদাঃ "মাইরি, কি কালো যে কি বলবো; একদম বানচোত কালো! " তাহলে যাঁরা বাঘের বাচ্চা বললে আনন্দে বাক্যিহারা হয়ে পড়েন তাঁরা একটু ভেবে নেবেন, কেমন? আর হ্যাঁ, আমি ঠান্ডা মগজ থেকে বিশ্বাস করি যে কোনো শব্দই তার জেনেসিসে খারাপ নয়; তাকে ডিকম্পোজ করে মানুষ। পারপাসফুললি। এবং সেই পারপাস সব, রিপিট, সব ক্ষেত্রে ম্যালাফায়েড ইন্টেনশন) ঢুকে বসে থাকো যে, কোনোসময় ফোনে পাওয়া যায় না !
এসব শুনলে আমি রেগে যাই।
আচ্ছা, না হয় আমি বেকার, তাই বলে "অ্যাতো অপমান! বেশ তবে চললুম"। কিন্তু কোথায় যাবো? যেতেও তো পয়সা লাগে রে, ভাই। কিন্তু কাছে পিঠের মানুষেরাও ইদানীং যখন "কখন যাবো, তাহলে?" বলে শুধোতে লেগেছে, তার মানে কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে। তাই আমি একটু আগে ঠিক করেছি, যে, আমার দৈনন্দিনটা শেয়ার করে দেবো।
সেটি নিম্নরূপঃ
বেলা সাড়ে এগারোটা - সাড়ে এগারোটাঃ ঘুম থেকে ওঠা।
বারোটাঃ ইয়ে, ওই, যার নাম প্রাতরাশ, চা, সিগারেট, গুটখা।
বেলা একটাঃ দ্বিতীয় খেপের চা, সিগারেট, গুটখা।
বেলা সাড়ে তিনটেঃ স্নান।
বিকেল চারটেঃ মধ্যাহ্নভোজ এবং গুটখা।
বেলা সাড়ে চারটেঃ ভাতঘুম (ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকে)
সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা - আটটাঃ ঘুম থেকে উঠে চা, বিস্কুট (কুকিজ মিন করছি), সিগারেট, গুটখা। (মোবাইল ফোনটার সাইলেন্ট মোড অফ করি; কোনো কোনো দিন ভুলেও যাই)
রাত নটা - সাড়ে নটাঃ দ্বিতীয় খেপের চা, সিগারেট, গুটখা।
রাত দশটা পনেরো - সাড়ে দশটাঃ প্রথম দফা ঘুমের ওষুধ। এবং গুটখা।
রাত সাড়ে এগারোটা - বারোটাঃ সাপার, মানে, ওই ডিনার।
সাড়ে বারোটাঃ ওয়াশরুম। সিগারেট।
রাত একটা - সাড়ে চারটে, পাঁচটাঃ....
ভোর সাড়ে পাঁচটা - বেলা সাড়ে এগারোটা - সাড়ে এগারোটাঃ ঘুম। (ফোন অফ থাকে)
বুঝতেই পারছেন মাঝখানের সময়গুলো কি অবধারিত প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ তুচ্ছ কাজে আমার সময় কাটে।
এবার আপনারাই বুঝুন কোনটা স্ল্যাং আর কোনটা নয়। কি কি প্রয়োগ আপনি করবেন বা, করবেন না। এবং... আরে! এসব কি বাল ছাল লিখছি। শুধরে নিই, এক্ষুনি, যখনই জেগেছে চিত্ত, তখনই হয়েছে প্রভাত, যাও তব (নিজ?) ব্রতসন্ধানে। এবার আপনারাই বুঝুন কোনটা সময় আমাকে ফোন করলে পাবেন, বা, কখন পাবেন না।
জয় জনতা রূপী জনার্দন, যারা ভোট দিয়ে মনে করে গণতন্ত্রের ধ্বজা ওপরে উঠলো। শিখরপানে ধাবিত হলো। ব্যাপারটা, আমার কাছে, ধ্বজা নয়, ধ্বজ বলে মনে হয় এবং সে ধ্বজ, দুর্যোধনেরই ঊরুভঙ্গের সময় থেকেই ভঙ্গ। কোনো ডি কে লোধ ভারতবাসীর এই ধ্বজভঙ্গ সারাতে পারেনি, পারবেও না। কোনোদিন।
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment