কোন দুর্ভাগ্য সঙ্গে নিয়ে যে ৫.১ সারাউন্ড সাউন্ড এর দাম দেখতে গিয়েছিলাম, কে জানে! আসলে বাড়ীতে বেশ, মানে, সত্যিই যাকে বলে বেশ, একটা হোম থিয়েটারের কিঙ্ক বলা যেতে পারে আমায়। হোম থিয়েটার যেকালে, বাধ্যত আমি ৫.১ থেকেই শুরু করে, গিয়ে দেখলাম ৯.২ চলছে এখন; ঠিক যেমন 5G নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হতে ভারতবর্ষ, উদোম পাগল হয়ে গিয়ে বাওয়ালি পাকাতে উদ্যত; আর ওদিকে, জাপানে, 7G চলছে।
তবে একটা কথা, যেটা সর্বাগ্রে বলে না দিলে এই লেখাটা পন্ডশ্রম; সেটা হলো, ফেসবুক থেকে যাইনি কিন্তু, আলাদা করে ব্রাউজার খুলে দেখেছিলাম, দিন পাঁচেক, না না, চারেক আগে। গিয়ে আন্ডার ৩০কে, মানে,
তিরিশ হাজার টাকাও লিখেছিলাম। চুপি চুপি বলি,
আমি,
এইসময়ে যেমন, তাতে করে, তিরিশ টাকাতে মিললেও, কিনতে পারতাম না, পকেটে অ্যানিমিয়া ধরে আছে, সে কমদিন হলো না। ছেঁড়া কাঁথা (আমারটা মাদুরও নয়, খুব সে খুব, চাটাই) এবং উড়ে উড়ে বেড়াতে বড়াতে বস্তা বস্তা গোলাপী কাগজের সমাহার স্তুপাকৃত হয়ে যাওয়ার পুরানো গল্পটা যেরকম, শুধু কাঁকালসার হাতগুলো বেরোনো বাকী; আমি, কোনো ফেস্টিভ্যাল এলেই, সেমত, ইন্টারনেটে বিভিন্ন জিনিস দেখি, স্পেকস পড়ি, নতুন নতুন কিছু জানি, দামের ডিস্কাউন্টের অ্যামাউন্ট দেখে লম্বাপানা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। তারপর? জাষ্ট ভুলে যাই। কুল।
চিল। মানে, তখন আমি হাজার হাজার, লাখ লাখ ছাল-বাকলহীন হাতগুলো দেখতে পেয়ে যাই কিনা ! তাই তখন আমার বোধি লাভ হয়ে যায়।
আর আমার এই তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরশ (কতদিন বাদে এই শব্দটা লিখলাম) নিতে পরিচিতজনেরা আমার কাছে আসেন। মোটামুটি প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমার প্রেসক্রিপশনানুসারে কেনা কাটা হলে, আমি, সে ক্রেতা ভদ্রলোকের বাড়ী গিয়ে তাত্ত্বিক এবং ফলিত এই জ্ঞানদুটোকে মিলিয়ে নিই; যেমন করে ফর্দানুনগ জিনিস দিয়ে, দাম ফেলতে ফেলতে, মুদী (না বাবা, ই-কার দিয়ে লেখাই তুলনামূলক নিরাপদ), মানে, মুদি, অর্থাৎ গ্রসার যে, সে, মালের পাশে একটা করে টিক মারে এবং মালগুলো, গস্ত করার আগে, পরিমাণ এবং সংখ্যা মিলিয়ে নেয়, অনেকটা সে'যথা। এইভাবে আজ, ট্যাব এবং কিন্ডল বুঝলাম।
দেখুন, জাষ্ট এইটা নোটিস করুন, পেরুজ করতে লাগবে না, আমি দেখতে বলেছি, নিরিক্ষণ করতে তো আর নয়, তাই বলে আবার অবলোকন করে ছেড়ে দেবেন না, প্লীজ; যে, কোনো কিছু লিখতে গেলে, কতটা ঝাঁট জ্বালানো এগ্সাজ্যরেশন আমি করে থাকি...
তো, যেদিন বেলার দিকে আমি সমানুষঙ্গিক সমাবৃত শব্দ ব্যবস্থা দেখেছিলাম, সেইদিন বিকেল থেকে, সোনি এবং ফিলিপ্স বাদে (অথচ আমি আমি এইদুটোর বিভিন্ন মডেলের স্পেকসই দেখেছিলাম) জেব্রনিক্স, পোর্ট্রনিক্স ইত্যাদিরা, 'ভাই এটা কিনে ফেল, চোখ বুজে, ঠকবি তো না-ই, উল্টে, সারাজীবন গুণ গাইবি', যেমত আসছে, এসেই যাচ্ছে।
সবচেয়ে অবাক হলাম, যখন বোস বার্তা পাঠালো। বার্তা তো নিছক নয়, নীলকমলে যৌনরাত্রী যাপন যেমন; ব্রাউজ করতে গিয়ে, তখন সকাল সময়ের ঢাল বেয়ে নামতে নামতে বেলা আর দুপুরের মিডিয়ান স্তরে; তিরিশ হাজার বাজেট দিয়েছিলাম কিছু না ভেবে, এখন দুই লাখ বাষট্টি হাজারের সারাউন্ড সিষ্টেমের আখ্যান ভেসে আসছে। ওদের প্রত্যেককে আমি জানিয়ে দিলাম, ভাইসব, যদি আমার মৃতদেহ, মানে, লাশ, ম্যানুয়ালি পোড়ানো হয়, তাহলে, সেই দাহের শব্দ, চিতাকাঠগুলো যখন আমাকে সঙ্গে নিয়ে পুড়বে, সেই অগ্নিসংস্কারের চড়চড় শব্দ শুনতে আসিস; শুনতে পেলেই দেখবি ধান আর চালের অনুপাতপারা, তোদের বুকের চড়চড়ানি। দুটোই চড়চড় শব্দ; একটা সদীর্ঘশ্বাস মুক্তির, অন্যটা সেই গুণমানে পৌঁছোতে না পারার আক্ষেপ।
এ আই (আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এখন বেশ এগিয়েছে; আপনি জি মেলে অ্যাটাচমেন্ট পাঠানোর কথা উল্লেখ করে, অ্যাটাচ করতে ভুলে গেলে, গুগল আপনাকে রিমাইন্ডার দেবে।
আমিও সেদিন, ঘটনাচক্রে, ক্রোম দিয়ে ব্রাউজ করছিলাম, ফলতঃ আমার আই পি ট্র্যাকিং সহজই ছিলো, সেই আই পি ধরেই আমায় ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া... এও শক্ত কিছু নয়; কারণকি, আমি তো জি মেলের অ্যাকাউন্টেই ফেসবুক খুলেছি। তবু্ও আমি, জি মেলে গিয়ে, সেটিংসে, একটা ছোট্ট পরিবর্তন করে দিলাম। এটা সব সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেই লাগু হবে, এমন ধারণাই যায় আমার, মানে, আমি পোষণ করি।
...কিন্তু এ আই, তিরিশ হাজার আর দুই লাখ বাষট্টি হাজারের মধ্যে, আমি তফাত বুঝি না মা, গেয়ে উঠলো দেখে, আমি, অন্যের খরচায় একটু হেসে নিলাম। একটা চোখ, কয়েক পাউচ ব্লাড, একটা কিডনি এসব বেচলেও দুই লাখ বাষট্টি হাজার টাকার আদ্ধেকও, কুল্যে উঠবে না।
আর আমার ফাটা দেওয়ালের ঘরে কিনা বোস...
হেঃ হেঃ, ওতে, গোদার বা ত্রুফো তো, প্রিন্সিপ্যলি, শোনা যাবেই না; আর অপরাপর শোনার মতো কোনোকিছুই, আমার হাতে আসেনি।
এখনো।
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment