Wednesday, September 28, 2022

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর vis-à-vis মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ এক ভীষণ অস্বস্তিকর তুলনা

 

প্রথমেই বলে রাখি, আমি, আজ মানসিকভাবে বেশ অসুস্থ অবস্থায় আছিসত্যি কথা বলতে কি, সেখান থেকে বেরিয়ে মনটা অন্যদিকে ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই এই পোস্টটা করছিঅতএব ভুল হওয়া স্বাভাবিকএমন কি রেফারেন্সে ভুল হওয়াও স্বাভাবিকআপনারা দিন তিনেক বাদে আমাকে প্রশ্ন করলে আমি হয়তঃ বলে দিতে পারবো কেন ওটা আমি লিখেছিলাম; বা, ভুল লিখেছিলাম

 

মে আই বি এক্সকিউজড টু শেয়ার মাই পয়েন্ট অফ ভিউ?

 

প্রথমতঃ চার জোড়া লাথির ঘায়ে রবীন্দ্র রচনাবলী ছিটকে পড়লো পাপোষে- (কোটেশন দিলাম না কারণ পাপোশ, না, পাপোষ সেটা মনে পড়ছে না)

 

কৃত্তিবাসীরা, তীব্র রবীন্দ্র বিরোধিতার সঙ্গে তো একটা 'আদার' খাড়া করতে হয়, তাঁরা করলেনও তাই,

. গল্প এবং বিশেষতঃ উপন্যাসের অর্থাৎ ফিকশনের ক্ষেত্রে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

. এবং কবিতার ক্ষেত্রে জীবনানন্দ দাশকে

যখনই জেগেছে চিত্ত, তখনই হয়েছে প্রভাত যাও তব / নিজ ব্রত সন্ধানে। (কোটেশন দিলাম না কারণ অনেক, অনেকদূরের স্মৃতি থেকে লিখছিব্যাপারটা এমনই যে, কবিতার নামটাও মনে নেই, এমনকি বাকী লাইনগুলোশুধু তাই নয়, তব না নিজ ছিলো - সেটাও মনে করতে পারছি নাকবিতাটা সম্ভবতঃ  '৫৫ - '৬০ সালের দশ কেলাসের পরীক্ষার সিলেবাসেও ছিলোসে যাক, সে তব হোক বা নিজ, বক্তব্যটা তো একই থাকছে, তাই না? আর ক্ষমাশীল অভিভাবকের মতো, আদর্শ আচার্যের মতো এভাবে রবীন্দ্রনাথের মতন পথ না দেখালেও, জীবনানন্দ দাশ, তাঁর নিজস্ব স্থানাঙ্কে ভাস্বর, হ্যাঁ, স্বীকার করতে কুন্ঠা নেই, রবীন্দ্রনাথের থেকেও) কিন্তু রবীন্দ্রনাথের তৈরী করা ভিত থেকে চকমিলান দালানকোঠা তুলেছেন জীবনানন্দরবীন্দ্রনাথ ভিত হিসাবে কাকে পেয়েছিলেন? রজনীকান্ত সেনও তাঁর সমসাময়িক (১৮৬৫ - ১৯১0)।

ফাউন্ডেশনটা তৈরী করার জন্য মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, এবং রজনীকান্ত কি আদৌ কোনোভাবেই সম্মাননা পাবেন না?!!!  এবং কাজী নজরুলকেও তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে কাল-বিচারে, পরিপ্রেক্ষিত বিচারে প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ থাক যে, জীবনানন্দ দাশ এবং কাজী নজরুল ইসলামের ইয়ার অফ বার্থ একই, ১৮৯৯

 

আমার ব্যক্তিগত মতে, গল্প এবং বিশেষতঃ উপন্যাসের অর্থাৎ ফিকশনের ক্ষেত্রে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, অ্যাজ দ্য আদার, রিপিট, আমার ব্যক্তিগত মতে, তীব্র আপত্তিকর এবং ব্যাপারটা সত্যিই তর্কসাপেক্ষআগে বলে নিই, আমি কি শুনেছি, এটা আগে বলে নিচ্ছি, কারণ, শট, পরে ভুলে যাবো

তখন স্কাই বিতে (আকাশ বাংলা চ্যানেলে), রোববার, সম্ভবতঃ দুপুর বারোটা পঁচিশে কিংবা পঁয়ত্রিশে সাহিত্যিকদের আনা হতোতাঁরা কথা বলতেন তাঁদের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ বিভিন্ন আঙ্গিকে, প্রেক্ষিতেতো, সেদিন কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত এসেছেন, কথায় কথায় মানিক বন্দ্যো প্রশ্ন উঠলো এবং তিনি সটান বলে দিলেনঃ সব কাম্যু-টাম্যু কিস্যু নয়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ফান্সে জন্মাতেন এবং দিবারাত্রির কাব্য (একদম এই উপন্যাসটার নামই নিয়েছিলেন) যদি ফরাসী ভাষাতে লিখতেন, তাহলে দ্য আউটসাইডার (দ্য ষ্ট্রেঞ্জার নয়) নয়, দিবারাত্রির কাব্য- নোবেলটা মেরে দিতো

পয়েন্ট মে কাইন্ডলি বি নোটেড – ‘কাম্যু-টাম্যু

এনিওয়ে, এটা হলো এক্সিহিবিট নং

এবার এক্সিহিবিট নং

বাংলা সাহিত্যের প্রথম অস্তিত্ববাদী নায়ক হেরম্বর থমথমে ডিসকোর্সগুলির কাছে ধেড়ে খোকা অমিত রায়ের চাপল্য স্রেফ পাখির কলকাকলি” (সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, ভাইডঃ আগুন, মুখোশ, পরচুলা ইত্যাদি, পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৯০) – কোটেশন, কেননা, বই খুলে দেখে লিখলামএটাকে একদম হাতের কাছে অর্থাৎ রেডি রেকন হিসাবে পেলাম, তাই)

 

সুতরাং, এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে, কৃত্তিবাসীরা ফিকশনের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এগিয়ে রেখেছিলেন; তাই তাঁকে আদার হিসাবে খাড়া করাকি, হ্যায় না?

এবার আসা যাক, ডিসকোর্স প্রসঙ্গেঃ, কোন পাঠক, সচেতনে, ফিকশনে, ডিসকোর্স চায়? - আমি অন্ততঃ নয়এক্কেবারেইডিসকোর্স মানে কি? - কিছু অম্নিসিয়েন্ট অথরের পয়েন্ট অফ ভিউয়ের অগ্মেন্টেশন বা ডিস্যেমিনেশন, লেখার মাধ্যমেএখানে পাঠকের ভূমিকা কি? “হ্যাঁ সার, আমি এগ্রি করছিবলে উঠে পড়া এবং বাড়ীর দিকে যেতে যেতে পুরোটা ভুলে মেরে দেওয়াএই ভুল দুজনেই করলেন, অথচ, একজন হলেন নন্দিত এবং অন্যজন নিন্দিত !

এই প্রসঙ্গ ছেড়ে যাওয়ার আগে, একটাই কথাই শুধু বলার, সেটা হলো কি হেরম্ব কি অমিতো রায় এই দুজনেরইথমথমে ডিসকোর্সতথাপাখির কলকাকলি’ -এর উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য আইডেন্টিক্যাল, বলতে গেলে হোমোজিনিয়াস অফ ডিগ্রী জিরো; শুধু এক্সটেন্ট আর ম্যাগ্নেটিউডটা আলাদা

তাবলে কি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়; - সেই মানুষটা, যখন কিনা ডায়িং বেডে, তখন, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যের আর একজন এইট থাউজেন্ডার, নিজেদের মধ্যের আকচা-আকচি ভুলে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সেসময়ের পিজিতে শ্রেষ্ঠ চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে উঠতে পারলেও, রিসিভার এন্ড থেকে রেজিস্ট্যান্স এসেছিলোঃ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ যেখানে চিকিৎসা করার সুযোগ পান, আমি সেটাই পেতে এন্টাইটেল্ড, তার থেকে বেশী কিছু নয় (এন্টাইটেল্ড শব্দটা আমার)। যাক গে, অ্যান অথর ইজ নট পার্ট অফ হিজ টেক্সট; - তাঁর লেখায় ফিরি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কি কিছুই ভালো লিখে যেতে পারেননি? –অবশ্যই পেরেছেনপুতুল নাচের ইতিকথা, চিন্তামণি (এটা এপিসটোলারি নভেল, মানে, নিমাই ভট্চায্যের মেমসাহেব কেস আর কি) এই দুটো খুবই উঁচু মানের লেখা, পাশফেল, লেভেলক্রসিং খুবই উন্নতমানের গল্প (জানি না, পাশফেল কি করে সিলেবাসে এসেছিলো, সিলেবাসে যা আসে, সাহিত্য ঠিক তার বাইরের সেটে থাকে)। গল্পকে আমি অ্যাকাডেমিকদের মতো অকারণ ছোটগল্প বলি না, কারণ ছোটগল্পকে মান্যতা দিলে বড়ো গল্পকেও, উপন্যাসোপম্বড়ো গল্পকেও, অণুগল্পকেও, পরমাণু গল্পকেও মান্যতা দিতে হয়লজিক্যালি, ্যাশানালি, আমি, দ্য হরিদাস পাল, সরি, অনিন্দ্য ঘোষ, সবকটাকে একব্র্যাকেটে ফেলি; গল্প এই ইউনিভার্সাল থিমেটিক নোমেনক্লেচারে ফেলে থাকি

তবুও, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্যাখা হলে, পুতুল নাচের ইতিকথা-কে রেফার করে, জিজ্ঞাসা করতামঃ স্যার, শরীরটা তবু না হয় বুঝলুম, মনটা ঠিক কোথায় থাকে, স্যার?

 

আমি তো বামুনের মেয়ে আর পন্ডিতমশাই ছাড়া বাকী শরৎচন্দ্রকেও সটান বাদ দিয়ে থাকি; কারণ বাকী উপন্যাসগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু ঘটনাবলীর সাক্ষী, বলা যায়, সোশ্যাল ডকুমেন্টস; কিন্তু সেটা অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, আমার কাছে, আর যাই হোক, সাহিত্য নয়সরি টু সে, নাথিং মোর দ্যান দ্যাটহ্যাঁ, উপন্যাস বটে ওই বামুনের মেয়ে, সব ধরানো আছে ওই একটা লেখায়কিন্তু রামের সুমতি বা মহেশ? বা তারাশঙ্করের কালাপাহাড়? ওইগুলো গল্প?! আর্নল্ড সোয়্যারজেনেগারও নায়ক? তাহলে তো চেয়ার, টেবিল, গাছ-গাছালি, পাখ-পাখালি সবই নায়ক হওয়ার যোগ্যতা পজেস করেএই জায়গায় আমি সবাইকে একটাই অনুরোধ করবোঃ হার্ট একটা মিয়্যার পাম্পিং মেশিন, যা কিছু বিশ্লেষণ, নিরীক্ষণের মধ্যে আছে, সেটা আপনার ওই প্যারাস্যাজিট্যাল লোব করবে, সোজা বাংলায়, মগজ, এখন যেখানে ১৪৪ ধারা চলছে (ভাইড, সেকশন 144, Cr.PC, 1973)যদি আপনার মনে হয় আমি একটা মেগালোম্যানিয়াক, এক জাতীয় ইমোশনাল ডিস-অর্ডার সিঙ্ক্রনাইজড্উইথ বিহেভিয়ারাল ডিস-অর্ডারে ভুগছি, তাহলেও আমার কিছু করার নেইআমি আপনাদের সঙ্গে জাস্ট সেটাই শেয়ার করছি, যেটা আমি ভেবে আসছি, ভাবছি এবং ভাববোও, এক, যদি না আপনাদের কোনো ইনপুট, কমেন্টের আদলে এসে আমায় অন্যরকম ভাবায়

 

এই পরিসরে একটা অন্য প্রসঙ্গ পাড়ি (এহঃ, যেন গাল পাড়বো); - শ্রী শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পদ্যসমগ্রের ৬ নম্বর খন্ডে একটা কাব্য, সরি, পদ্যগ্রন্থ আছে, যার নাম গান অর্থাৎ, শক্তি সেগুলোকে গান হিসাবেই লিখেছিলেন (এর মধ্যে তিনটে গান আছে পন্ডিত সুকুমার মিত্রের লেখা এবং শ্রীময়ী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া; এক. সন্ধ্যার তরঙ্গহীন জলে / কথা বলে, আমাদের মতো কথা বলে / তীরের জোনাকি / নৌকার পারানি পড়ে ফাঁকি... এবং দুই. হৃদয়ে কার কপাট খোলার শব্দ হলো / বাহিরের হাওয়ায় বাগান উঠলো কেঁপে... আর তিন. আমার সন্ধ্যাবেলার মন / তুমি কখন হবে এমন দেশান্তরী...) আমার কান যেমত শুনেছে, প্রথম দুটি গান অনবদ্য এবং প্রথম গানটার সঙ্গে আমার আর জয়িতার এক পরম সুখপ্রদ স্মৃতি জড়িয়ে আছে, বলাই যেতো সেটা, অবলীলায়, কিন্তু, তাতে করে পুঁথি বেড়ে যাবে আর লোপামুদ্রা মিত্রের অপরূপ গাওয়া বাঘ গানটা বোধহয় ওই গান কাব্য, অহ্‌, বুলশিট, সরি, ওই গান পদ্যগ্রন্থের নয় হাউএভার, যেহেতু, এই প্রসঙ্গের অবতারণার উদ্দেশ্য একটু অন্যরকম, তাই, আপনাদের জানা সত্ত্বেও বলি, যে, শক্তি রচিত সে গানগুলি কিন্তু পরে পদ্য হিসাবেই বিবেচিত হয় এবং তাঁর পদ্যসমগ্রে জায়গা করে নেয়যদি শক্তির ক্ষেত্রে এটা ঘটে থাকে, এবং ঘটেওছে, তাহলে, রুল অফ ট্রান্সিটিভিটি অনু্যায়ী, রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও এটা ঘটা উচিত; - কি হ্যায় কি নেহি? আর যদি তা হয়, তাহলে, আমার অতিসীমিত মেধা, পড়া পারসেপ্শনানুযায়ী, সেই সভ্যতার শেষক্ষণ অবধি টিকে থাকা গানগুলোও তো ঢুকে পড়ছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা হিসাবেআর যদি ঢুকে পড়ে, তাহলে, রবীন্দ্রনাথকে ছোঁয় কোন্শালা? তখন দ্য স্ট্রেঞ্জার, দ্য ট্রায়ালের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিতার পুরো সেটটাকে আগে সরিয়ে রেখে বাদবাকী লেখক, কবি, প্রাবন্ধিকদের (বোথ সেক্সকে মাথায় রেখেই বলছি) সাহিত্যকর্মাদির আলোচনা করতে বসতে হবেআর সেসময়, অনেকেরই হয়তঃ আঁতে লাগবে, তবুও বলতে, তথা স্বীকার করে নিতেই হচ্ছে, যে, তখন কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য দূরবীন লাগবে, ফিলিং এক্সট্রিম্লি সরি টু স্যে দ্যাট

   

তো, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তো, তাঁর সাহিত্যকর্মাদি; - পদ্মানদীর মাঝি নিয়ে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় খুবই আহাতুতু করেছেন, সমরেশ বসুর গঙ্গা কে ডাইরেক্টলি সমান্তরালে এনে, আপন মনের লজিক সাজায়ে, জাক্সটাপোজ করে পাঠকের কাছেই জানতে চেয়েছেনঃ কৌন জিতা, কৌন হারাআমার মতে, কেউই জেতেনি, কেউই হারেনি; কারণ খেলাটাই তো হয়নি, তা সে যতোইখেলা হবে, খেলা হবেবলে গণ-কৌতুহল বাড়িয়ে দেওয়া হোক না কেন ! দুটোই জাস্ট ন্যারেশন, যে যাঁর মতো করে করেগিয়েছেন এবং আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞান, মেধা পড়ানুযায়ী, দুটোর কোনোটাই ট্রান্সেন্ড করেনি

আসলে কি জানেন, এখানে একটা কথা, মিলান কুন্দেরার দ্য আনবিয়ারেব্ লাইটনেস অফ বিয়িং থেকে ধার করে বলতে হয়, দেয়ার ইজ নো পারফেকশন, অন্লি লাইফ

আমি, চুলস্য চুল অনিন্দ্য ঘোষ, এটাই মনে করি যে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মে সবচেয়ে বড়ো বাধা ছিলো তাঁর অতি উচ্চ মেধাযে অতি উচ্চ মেধার জন্য লিখতে বসে পাঠক-মেধাকে ভয়ানক তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন, গোটা পাঠককূলকে, সিমপ্লি, জাইভ অ্যাস ফাকিং ইডিয়ট ভেবেছেনএই অতি উচ্চ মেধাই তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো মার্ক্স এবং ফ্রয়েডের, একটা অবাস্তব ঘোল বানাতেযে জিনিসটা হয় না, হতে পারে না; মাঝখানে বিরাট ইউরোসেন্ট্রিক প্রতিবন্ধকতা যে ঘাড় উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সেটাই তিনি মিস করে গেছেনকিংবা, হয়তঃ বুঝেও, ফোর্সফুলি থিওরাইজ করতে চেয়েছিলেন; - এখন তো আর জানার উপায় নেই

 

ওপারেও ঠিক একই উদাহরণ হিসাবে ছিলেন একজনঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

 

তবে, আমার সীমিত জ্ঞান, মেধা পড়ানু্যায়ী

শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসাবে, জীবনানন্দ দাশ বললে আপত্তি ছিলো নাবা, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বললে আরো ভালো হতোএবং সর্বোত্তম হতো সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বললেশহীদুল জহির তো এখনো অনেকের কাছেই অপঠিত এবং দেবেশ রায় রমানাথ রায় অধিকাংশ পাঠকের কাছে এখনো লিট্ ম্যাগাজিনের লেখক আর নবারুণ ভট্টাচার্য তো একদম অন্য অববাহিকায়, তাঁকে বুঝতে, হজম করতে আপামর বাঙালী পাঠকের এখনো কিছুটা সময় লাগবে; নবারুণের গদ্যভাষাই অধিকাংশ পাঠক-পাঠিকার আপব্রিংগিং এর সাথে অর্কেস্ট্রেইট করে না, মানে, কম্প্যাটেব্ নয়, এই আর কি 

 

কথায় কথায় যে রাত হয়ে যায় কি কথা ইলো বাকী?

অ্যাতো যে হ্যাজ নামালাম, ফয়সালা তার কি হলো?

কথা হলো এই, যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর vis-à-vis মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়এই দ্বৈরথে, ওই, সন্দীপনানুযায়ী, কৌন জিতা, কৌন হারা উত্তরটা, আমার তরফ থেকে এইরকমঃ খেলাই হয়নি, হচ্ছেও না, সম্ভবতঃ হবেও না, কোনোদিনজেতা-হারা প্রশ্নও অতএব নেইদুজনেই দুজনের জায়গায় হয়তঃ ঠিক কিংবা হয়তঃ ভুল ২০২২ তে বসে নির্ণায়ণ মুর্খামি ছাড়া আর কিছু নয়৩০২২ তে হয়তঃ এর উত্তর পাওয়া যাবে, প্রোভাইডিং যদি এই সভ্যতা ততদিন টেঁকেকিংবা হয়তঃ এর উত্তর কোনোদিনই পাওয়া যাবে না

 

 

 

 

অনিন্দ্য ঘোষ    ©

ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস

ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে

 

এডিটেডঃ একটা গোটা প্যারা এখানে অ্যাপেন্ড করা হয়েছেহ্যাঁ, অ্যাডেন্ডামই বলা যায় একে

 

No comments: