জন্মের পর চোখ ফুটতে কদিন লাগে মানবসন্তানের? নিঃসন্তান যেকালে, কোনো পেডিট্রিশিয়ানের বলে দেওয়ার সম্ভাবনা না ওঠায় ঠিক জানিও না; আবার, পরিবার বা পাড়ার জেঠিমা, দিদিমা, ঠাকুমারা যে এসে মোটামুটি গোছের একটা ধারণা দেবেন, তাও হয়নি ।
তবুও... কিছুকালের কর্মসূত্রে আন্দাজ করেছি একমাস মতো লাগেই । যদি ঠিক ভেবে থাকি, তাহলে, সেই ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে পৃথিবীকে দেখছি, আর তার থেকে একমাসের বেশী সময় ধরে পৃথিবী আমায় । দেখছে ।
কম দিন হলো !
কেন মিছিমিছি মিথ্যে বলবো; পৃথিবীকে দেখতে দেখতে আমি বোর হয়ে গেছি । শুধু হিমালয় ছাড়া সোমবারও পৃথিবী যা, শুক্রবারও তাই, অবশ্য কে শুক্কুরবারে সন্তোষীমাকে ছোলা-আখের গুড় খাওয়াচ্ছে, সেসব ধর্তব্যের মধ্যে আনতে চাইছি না । ঢের হলো পৃথিবী দ্যাখা, আমায় কেউ নিম খাওয়ায়নি চিনি বলে, কেউ কথায় ছল করেনি, মুখ আমার তেতো নয় মোটেই, যেমন কিনা পৃথিবীও । আমি আমার মতো করে খেলেও নিতে পেরেছি, খেলবে বলে ভূতলে নামিয়ে কেউ আমাকে ফাঁকি দেয়নি । যা মোটমাট বলতে চাইছি তা এই, যে, জাস্ট, আমার পৃথিবী দ্যাখা শেষ এবং সম্ভবতঃ পৃথিবীরও আমায় ।
এবার সত্যিই সূর্যাস্ত হয়েছে, সন্ধ্যা নেমেছে । গাঢ় । জ্বলে উঠেছে সোডিয়াম ভেপার, নিওন ।
...এবার তো কোলের ছেলেকে ঘরে নিয়ে চলো । জানি না, কিন্তু আন্দাজ করতে পারি সে ঘরে কারা কারা আছে ।
ছবি সৌজন্যঃ Camino AKA The Way (Spain, 2008) ছায়াছবির একটি মৌহর্তিক খন্ডদৃশ্য ।
অনিন্দ্য ঘোষ ©
(ফেসবুকের পুরানো লেখা থেকে)
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment