আচ্ছা, ধরুন, ওয়ান ফাইন মর্নিং, মর্নিংটা ফাইনই, কেননা, ঘুম থেকে ওঠা ইস্তক আপনি দেখলেন আপনার কাছে একটার পর একটা গিফট বক্স আসছে। প্রেরক - জনৈক হিতৈষী। প্রাপক - আপনি। হেব্বি লাগবে না? মনে হবে না, পৃথিবীটা বিন্দাস আছে?
এইবার আপনি রাজু শ্রীবাস্তব যেমন বলতে বলতে না ভুললেও চলতে চলতে থেমে গেছেন আচমকা, শেষ শব্দ হয়তঃ ছিল, অলবিদা; সেই পেটসাফা করতে গেলেন। রুটিনের মোশন বলে কথা...
ইতোমধ্যে উপহার আরও আসছে। পেট সাফিয়ে, তারপর নিজেকে সাফিয়ে, লিভিংরুমে এসে, আপনি, অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে বুঝেও একটা একটা করে গিফট বক্স খুলতে লাগলেন। যেমন কিনা লেড়িকুত্তায় মুতে দেওয়া মধ্যবিত্তের কপাল, আপনি দেখলেন ফি বাস্ক'র (আর সেটা বক্স নেই) মধ্যে কিছুটা করে শূন্যতা রাখা আছে আপনার জন্য। এখনো মনে হবে, কঁহি দিনো সে কোঈ শিকায়েত নেহি জমানে সে...?
চরম খচে গিয়ে আপনি গুছিয়ে খিস্তির মালা সাজাতে যাবেন, এমন সময়... দৈববাণী হলো। বামাকণ্ঠের। চেনা স্বর। হররোজ আপনি এই গলা টিভির পর্দায় শোনেনঃ 'আমি দেখছিলাম তোর মনে শতাব্দী প্রাচীন মিডলক্লাস ধৈর্য্য আর কতটা বাকী আছে। খুব লোভ তোর, না? আর এটাই তোর পবলেম' (প্রবলেম নয়)।
মধ্যপ্রদেশের সুদূর গাঁয়, যেথা সময় থমকে থামে বটের ছায়, সন্ধ্যাদীপ জ্বালে তারার টিপ, যেথা ফুলের গন্ধে আমার মন মাতায়, আহা, কোন্ সুদূর সেই স্বপ্নপুর, মন যে গায় ঘরে ফেরার সুর, আমার পথ চেয়ে আজও সেই মেয়ে, বুঝি স্বপ্নজাল বোনে গান গেয়ে... এইরকমই এক কিশোরী মেয়ে (আইনানুযায়ী তাকে কন্যাশিশুই ধরতে হবে। কিন্তু ভালোবাসায় তো কোনও পাপ নেই, থাকতে পারেও না, কারণ ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি) রেপড হয়ে গেলো। ইন দ্য নেম অফ লাভ, রান অ্যাওয়ে হয়েই রেপড হলো। পকসো আইনে মামলা রুজুও হলো। তারপর তাকে শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে পেশ করা হলো। সমিতি তাকে মেডিক্যাল এক্স্যামিনেশন্যাত্যাদি করার জন্য ইন্সটিটিউশনাল কেয়ারে রেখেই রেস্টোর করে দিল। এত অবধি দারুণ। ইনস্টিটিউশন ইজ় দ্য লাস্ট রিসর্ট। পিকচার পার্ফেক্ট।
কিন্তু সে রেস্টোরড হলো কোথায়? না, তার এক তুতো বোনের বাড়ীতে। যে তুতো বোন কিনা আবার, হেঃ হেঃ, অভিযুক্তের বৌদি হয়। অর্থাৎ এইচ এস আর এর মা-মাসী করে দিয়ে রেস্টোরেশনটা করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছে। পেয়ে, বৌদির বাড়ী গিয়ে দেখল গোবরে পদ্মফুল ফুটে থাকার মতো মেয়েটি টলটলে বসে রয়েছে। বাস, আর কি, আর এক প্রস্থ আমার ঝপাংটা দাও তো, ভতাং করি।
আবারও একবার ঝেড়ে দিলে!
এই হলো পদ্মফুলের কড়চা।
ঘাসফুলের পশ্চিমবঙ্গে মাইরি বলছি, অ্যাত্তো রেপ, রেপ অ্যান্ড মার্ডার, রেপ, মার্ডার অ্যান্ড কনসিলমেন্ট অফ এভিডেন্স হচ্ছে যে, গতকালই ঠেকে বসে আমরা গুল্পাচ্ছিলাম যে এবার না একটা রেপশ্রী এবং মরণোত্তর, সরি, খুনোত্তর রেপশ্রী চালু হয়ে যায়। আমাদের পাড়া, ওফ, আমাদের রাজ্য, আমাদের সমাধান।
আমাদের পাড়া - আমাদের সমাধান প্রসঙ্গে একটাই কথা জানানোর যে পাবলিকের সমস্যা অ্যাত্তো বেশী আর অ্যাত্তো বিচিত্রবীর্য টাইপ যে, প্রবলেম স্টেটমেন্টগুলোর কোনও প্রিরিওরিটাইজেশন করা যাচ্ছে না। অ্যালোকেশন বড়ো কম বলে দিয়ে সবাই ঝাঁপ ফেলে গোপালের মতো সুবোধ মুখ করে বাড়ী ফিরে আসছে। হেব্বি সমাধান। কেউ চটে দেখাক দেখি!
***ভোট আসছে। জনস্বার্থে লিখিত।***
তা বলে মাকুদের যেন আবার ভোট দিয়ে বসবেন না। মুখে বিরাট বিরাট বাণী, আরটিক্যুলেট করতে গিয়ে দাঁত উপড়ে যায়, আর কাজে? স্টেলমেট। ফুল স্ট্যাগনেশন। ৩৪ বছরের প্রথম ২৩ বছরে অমনই দেখেছি। যেই কিছু চৈতন্য হলো, আমরা গাঁড়ে লাথ মেরে দিয়ে বললামঃ লোকটা সৎ ছিল। ভালোও ছিল খুব। কিন্তু অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানত না। অতএব লোকটা গেছে বাঁচা গেছে। আর হরদিন রাইটার্সবেলা এসে বলবে না, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। লোকটা সাদা ছিল। প্রিয়ও ছিল খুব।
তবুও আগুনেই পুড়ে গেল লোকটা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও একজন ফারসাইটার।
তবে মাকুরা কিন্তু আর সে মাকু নেই। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অধিকন্তু, নানা মুনির নানা মত আর অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। রেজিমেন্টেশন মানে একটা শিকড়, একটা ইতিহাস; বারো হাজার ভূতের কেত্তন নয়। আর মার্ক্স যা যা বলে গেছেন, সেগুলোই ধ্রুবতারা নয় (লাতিন আমেরিকা দ্রষ্টব্য। মজা হলো, মার্ক্সিজম কিছুটা হলেও সেখানেই বেঁচে আছে এবং পরমাশ্চর্য, এই অসময়েও তার নিয়ত চর্চাও হচ্ছে)।
তাহলে ভোটটা কি নোটায় মারবেন? তা'লে তো আপনার - আমার পোঙা, এহ্, টাকা মেরে আর একটা ইলেকশন। মোটের ওপর, গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো।
তার চেয়ে আসুন ভোটটাকেই ওঁ গঙ্গা করে দিই। রাস্ট্রপতিকে চিঠি লিখিঃ পশ্চিমবঙ্গবাসী এবার ভোট দেবে না। আপনি কাইন্ডলি ম্যারাপ বাঁধা বন্ধ করার আদেশ দিন।
এসব বাল ছাল লিখলে দায় আমাকে নিতেই হবে। অতএব -
অনিন্দ্য ঘোষ ©
মধ্যপ্রদেশের খবরের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/17AGj6Atz9/
ফটো কার্টসিঃ গুগল ইমেজেস ।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment