আঁচ্ছা, পাগলের হোলসাম ইন্টারেস্ট তো সাঁকো নাড়ায়। এখন, সাঁকোর মাঝখানে আমি, তলায় রয়েছে পাহাড় থেকে সদ্য সমতলে নামা পুরানো এক খরস্রোতা, গভীর বহতা নদী; এমন সময় পাগলটা এসে সাঁকো নাড়িয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। মুশকিল হলো, আমি সাঁতারও জানি না, আর সাঁকো দিয়ে নদী ডিঙোনোর সময় কে আর লাইফ জ্যাকেট ফ্যাকেট সঙ্গে আনে, বলুন? তাছাড়া, কি করেই বা জানবো যে পাগলাচোদাটা এখনই এসে উদয় হবে? একা নই, পিছনে রয়েছে পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব; তবে ওই যে বলে না, আপনি বাঁচলে বাপের নাম। আমি চিৎকার করে বললামঃ ‘ফর ফাক সেক, ডেজিষ্ট ইয়োরসেলফ। আই অ্যাম গেটিং সিক অ্যাবাউট ইট। ক্যান্ট ইউ সি আস অন দ্য মিডল মোষ্ট অফ দ্য ষ্ট্রীম?’ এভাবেই স্মুথলি যে বলতে পারলাম, তা মোটেও নয়; ডুবে যাওয়ার ভয়, ডিসব্যালেন্সড হতে হতে টাল সামলানো... এইসব জ্ঞ-ঞ্জ অবস্থায় মুখ দিয়ে মঁয়চঁয়হঁয়সঁয়-ই বেরোয়, ভাষা নয়।
তাছাড়া, এ পাগল ইংরেজি, বাংলা, হিন্দী, উর্দু, ফারসী, ভোজপুরী, উড়িয়া, মারাঠী, গুজরাটি, রাজস্থানী, পাঞ্জাবী, কাশ্মীরি, অসমীয়া, নর্থ ইষ্টের সব ভাষা, সব বোঝে। হয়তঃ বোঝে দক্ষিণ ভারতের ভাষাগুলোও।
তো, সে পাগল কি সাঁকো নাড়া থামাবে?
কেউ বা কয়েকজন একটু এগিয়ে দেখুন না, প্লীজ !
বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ ফিল কলিন্সের অ্যানাদার ডে ইন প্যারাডাইস থেকে মোটেও অনুপ্রাণিত হইনি; তাছাড়া, তাবৎ বাঙালীকে অনুপ্রেরণা সাপ্লাইয়ের মনোপলি এখন একজনেরই।
#নেড়ে-মালাউন
#মালাউন-নেড়ে
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ছবি সৌজন্যঃ ইন্টারনেট (গুগুল ইমেজ)
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment