আমার বাবার ভাগ্য একদিক দিয়ে ভালোই। অস্বস্তিকর লাগলেও, এটা মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমার। এই প্রবল গরম একজন বৃদ্ধকে তো আর সহ্য করতে হলো না।
তা এরকম গরম কি আর আগে পড়েনি কোনোদিন? - নির্ঘাত পড়েছে। অমোঘ। এই তো আমি লোনা জল থেকে সদ্য তোলা মাছের মতো হাপসি কাটছি, আগেও যেমনটা কিনা কেটেছি।
আসলে ভাবছি অবচেতনে বোধহয় এই, যে, এই পৃথিবীর রণ, রক্ত, সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়। শেষ সত্য সেটাই, যেটা, প্রকৃত কথনে, শেষ; - জন লেননের উক্তি যথা "Everything will be okay in the end. If it's not okay, it's not the end.", তো, সেই সুন্দর শেষ, ফুলেল সোহাগে জড়ানো।
গঙ্গা দিয়ে সেইসব ফুল ভেসে যায়। দিকবিদিক। আগে তো অশ্রুসিক্ত ছিলোই; এবার গঙ্গার আশ্লেষে লবণাক্ত হয়ে ওঠে। সম্পূর্ণ।
পিতৃবিয়োগের দিনে, আমি, এটা কিছুটা আশ্চর্যেরই যে, একটুও কাঁদিনি। সম্ভবতঃ বুঝিনি কি ঘটে গেলো। আচ্ছা, তারপরেও তো তেমন কোনোদিন কাঁদিনি। তাহলে কি আমার সেই মনটাই নেই, আমি ভালোবাসতেই শিখিনি !
তাহলে আমার এই অ্যাত্তো বন্ধু-বান্ধব, অ্যাতো দিনের যাপন, বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন, জয়িতা- আমার স্ত্রী, অ্যাতো বছরের দাম্পত্য জীবন... আমি তো, তার মানে, সবাইকে ধোঁকা দিয়েছি, জাস্ট টিপিক্যাল চিটিং...
আর যদি ভালোবাসতেই না শিখলাম, তাহলে এই মানবজন্ম কি কাজে এলো আমার? মনে পড়ে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে, যিনি পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, মানুষকে ভালোবাসার বড়ো তন্ত্র পৃথিবীতে আর নেই।
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ছবি সৌজন্যঃ ইন্টারনেট (গুগুল ইমেজ)
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment