ষাটের দশক দুনিয়ার পৃথিবীর পাশ্চাত্য অর্ধে খুব গুরুত্বপূর্ণ, ইনক্লুডিং আমেরিকা। ইন ফ্যাক্ট, আমেরিকাই হোস্ট ছিলো। কিন্তু সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিলো ইউরোপ-আমেরিকাতেই, নিজেদের মতো করে; অথচ দ্যাখা গেলো, দুটো সলতেই ছিলো, যাকে বলে, আইডেন্টিক্যাল ট্যুয়িনস। এর কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসের ব্যাপকতার প্রেক্ষিতে মানুষ ভাবতে শুরু করেছিলো, জীবনের অর্থ কি? সবকিছুকে, বিশেষ করে যা কিনা প্রাতিষ্ঠানিক, অথবা যা কিছু পরম্পরা ধরে চলে আসছিলো, তাদেরকে তো বটেই, প্রত্যেককেই 'কেন' দিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিলো, অ্যাজ ইফ, এতেই বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে; শেষ যে শ্লেষাত্মক বাক্যাংশটা লিখলাম, সেটা দূরে আছি বলে; প্রকৃত প্রস্তাবে, যখন কিনা বস্তির পাশের ঘরে আগুন, আর আমারও কিনা খড়ের চাল, এখনো দাহ শুরু হয়নি ঠিকই, কিন্তু, শুরু হতে দেরীও খুব বেশী নেই; এসব সময় মন-মাথাকে "কুল অ্যাজ আ কিউকুম্বার" রাখা বড়ো দায়। না হলে, ভারতবর্ষ তো আর অন্য গ্রহের দেশ নয় রে বাবা; অথচ শূন্য আর মুক্তিমন্ত্র তো ভারতই দিয়েছে। কিন্তু দিলো কি করে? কারণ শুধুই, শুধুই মাত্র আর দেওয়ার মতো কিছু ছিলো না এই 'জনমদুখিনীর ঘরে'; মনে হয়, ছিলো না বলেই শূন্য'র ধারণা এই দেশ থেকে গেছে। আর দুঃখ থেকে তফাতে থাকার জন্যই বোধহয় মুক্তিমন্ত্র।
সেকথা থাক, "কেন করতে হবে?" এই প্রশ্ন কিন্তু প্রাথমিকভাবে খুব বিনয়ের সঙ্গে করা শুরু করা হয়েছিলো। পীট সীগার, খুব বেশী হলে, তার তিন দশক মাত্র আগেই তো গেয়ে উঠেছেন হুইচ সাইড আর ইউ অন, বয়েজ? ইজম থাক, বেঁচে থাকার জন্য যে ক্রিটিক্যাল মিনিমাম সাম্যতা; মতপ্রকাশ ইত্যাদি সব অ্যাসপিরেশন পরে; আগে তো মানুষ বাঁচুক। না বাঁচলে মত প্রকাশটা করবেটা কে? পকেটে যাদের সোনার রেজগির ঝনঝনানি, তারা তো মতপ্রকাশ করে আসছেই, একটু নাক বেড় দিয়ে, নিজেদের প্রকাশ করা মত, নিজেরাই, এমনকি, পিতিষ্ঠে করে ছাড়ছে।
ষাটের দশক ক্যানভাসটাকে সার্বিক দেখতে চাইছিলো, প্রান্তিক মানুষদের কথা রেখেছিলো সর্বাগ্রে, যেন মিছিল। একটা কথা সাইডটকের মতো উড়ে আসতে পারেঃ নেই কাজ তো খই ভাজ। পেটে ভাত না জুটলে দেখতাম চ্যাঁটে কতো সিঁদুর জমে। তাদেরকে স্মিত হেসে বলার, হেসে বলারঃ চার্লস চ্যাপলিন, ১৯৪০ সালে দ্য গ্রেট ডিক্টেটর বানিয়েছিলেন, যেখানে ওই বিখ্যাত বক্তৃতার প্রেসি করতে বললে, আমি লিখবোঃ এতো মানুষ... মানুষেই বাঁধবে ! তবেই সম্ভব হবে মানববন্ধন ! আর ১৯৩৬ সালে মর্ডান টাইমস, যেখানে যন্ত্রায়ণে রাশ না টানলে যন্ত্রেই পিষে যাবে মানুষ। আর যখন তিনি এসব বলছেন, দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে বেরিয়ে, তখন, তিনি সেই, যাকে বলে মাল্টি-বিলিওন্যেয়ার। আসলে সৃষ্টিকর্তাকে না দেখে, তাঁর গুহ্যদ্বারে কতটা বিটকেল গন্ধ ছড়াচ্ছে, সেটা না দেখে, বিশ্লেষণ করতে না বসে, এফোর্টটা তাঁর সৃষ্টির 'পরে (খুব লিখতে ইচ্ছে করছিলো, 'পানে' লিখি) দেওয়াই সমীচীন। অ্যান অথর ইজ নট আ পার্ট অফ হিজ টেক্সট; পোষ্ট মর্ডানিজমের এই তোরণ দিয়েই একজনকে ওই র্যেল্মে প্রবেশ করতে হবে। সারাক্ষণ এইটাকে প্রবেশের টিকিট যথা বুকপকেটে আগলিয়ে চলতে হবে। জাভার নাম তো জানেন নিশ্চয়, জিনিসটি অনেকটা জাভার মতো, সব টেকনোলজিতে আছে। আর পোস্ট মর্ডানিজম? - জীবনে, জানি না, ডেলিভার দ্য লোডের সময়তেও থাকে কি না।
প্রসঙ্গতঃ 'উত্তর আধুনিক চেতনা' বলে একটা চিন্ত্বনহীন চিন্তা-প্রবাহ, কিছু বাংলা কবি, ফিকশন রাইটার, নন-ফিকশন রাইটার, নিবন্ধিক, প্রাবন্ধিক (শেষোক্ত শব্দ দেওয়ায় কথাটায় বেশ জোর এলো) -দের মাধ্যম করে, কিংবা হয়তঃ, তাঁদেরই সমবেত মস্তিষ্ক থেকে জন্ম নিয়ে ও অতঃপর তাগড়া হলে ‘পর, বহে যাচ্ছে ইদানীংসমেত কয়েকদশক ধরে; বাপের ভাগ্য ভালো, বেশী ছড়ায়নি; কেননা, এমনিতেই তা এনাফ ছড়িয়ে ফেলেছে, মুখে একরকম কথা বোলে আর কাজে অন্যরকম কোরে...; টিপিক্যাল বাংলাবাজার যেমন আর কি।
যেমন ধরুন, ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি হয়, একদিন হবে না, একদিন একা ধ্বনি ফিরে আসবে হরিধ্বনি হয়ে, তোমার শোনার দায় নেই (মূল লেখাটা ধারেকাছে হলেও, আমি, আমার পাঠটা লিখলাম, সততঃ কথনে একজন পাঠক তো নিজের পাঠ ধরেই বাঁচে, বাঁচে কিনা, বলুন; বলুন হ্যায় কি নেহি), এটা শুনে যখন কিনা আপনি স্পীচলেস, মানে, বাক্যিহারা আর কি, তখন ওই লোনা চেতনার জট থেকে, কেউঃ শক্তির মতো মাতাল আমি খুব কম দেখেছি।
আশ্চর্য, বলা হলো একটা কবিতা বা তার অংশ, যখন কিনা চারপাশে কবিতার তুলো ওড়ে অবস্থা, ওড়ার কথাও; - প্রতিধ্বনিত হলো কিনা বড়দার শাসানি !
আর একটা বলিঃ তুমি মাটির দিকে তাকাও / দেখো, মাটি প্রতীক্ষা করছে (মূল বাক্যঃ মাটি প্রতীক্ষা করছে) / তুমি মানুষের হাত ধরো / সে কিছু বলতে চায়। আবারও একবার আপনার মুখ বের হবার মতো কোনো শব্দ নেই স্টকে, চেতনার (এটা আর ঠিক চেতনার লেভেলে নেই বোধহয়, চৈতন্যের পথে চলে গেছে) শেকড়বাকড় ধরে তুলকালাম, দূরাগত আঁশটে থিওরেটিক স্বর ভেসে এলোঃ কে বীরেনদা? ধূর, ও তো সিপিআই ছিলো।
অর্থাৎ, টেক্সটকে ছেড়ে দিয়ে অথরকে ধর; ঠিক যেটার উল্টোকথা পোস্ট মর্ডানিজম বলেছে; - অ্যান অথর ইজ নট আ পার্ট অফ হিজ অর হার টেক্সট।
কি মনে হয়? একটা অ্যাডজেক্টিভ? আমার তো ভাই দুটো মনে পড়ছেঃ মাদারচোদ, বেটি / ব্যাটাচোদ। ভাবে ঘরে জেনেবুঝে চুরি করে দাঁত কেলিয়ে হাসি! সান / ডটার অফ বিচেস!
এনিওয়ে, ওদিকে, ১৯৫৯ থেকে, ফ্রান্সে বিস্ফোরণ শুরু হলো, রিলিজড হলো দ্য ৪০০ ব্লোজ, বোমাটা বেঁধেছিলেন ত্রুফো, একদম সোনা মুখ করে সনাতন চলচ্চিত্র পরিচালকদের মতো, মিঃ নো এভরিথিং সেজে; স্ক্রীনিংয়ের সময় থেকেই উপলব্ধ হলো, এ বানচোত এখনকারের নয়, তিনহাজার সালের নিশ্চয়; অতঃপর পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৬০ সালে ব্রেথলেস, সানগ্লাস পরে, গোদার নামের এক ভদ্রলোক (?) (রোদচশমা জিনিসটা নির্ঘাত ওঁর খুব প্রিয় ছিলো; কে বলতে পারে, হয়তঃ পয়েরও ছিলো, বোধহয় কমোডেও বসতেন সানগ্লাস এঁটে, এক সিটিংয়ে বাওয়েলস্ ক্লিয়ারের জন্য; আর আজ কে না জানে, অন্ততঃ, অধুনা অকাল প্রয়াত শ্রী রাজু শ্রীবাস্তবের সৌজন্যে যে, পেট সাফ তো সব সাফ), মিটিমিটি হাসতে হাসতে, জাষ্ট ইচ্ছে করে (কিছু এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে, ট্যাঁকের কারণে, আপোসে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন) হয়-এর জায়গায় নয়, আর নয়-এর জায়গায় হয় করে দিয়েছিলেন, মানে, ট্র্যাডিশনাল সিনেমাটোগ্রাফির মা-মাসী এক করে দিয়েছিলেন ! নির্মাণের অনেক, ঢের অনেক পরে, মানুষ বুঝেছে, যে, কতটা কনফিডেন্ট হলে ১৯৭০ সালে ঈস্ট উইন্ড বানানো যায়; কতটা মুঠো শক্ত হলে, প্রথম চারজনের শেষজন হাসতে হাসতে বলতে পেরেছিলেনঃ দেয়ার ইজ নো ওয়েভ, অনলি দ্য সী।
...সুতরাং ষাটের দশক আলটপকা আকাশ থেকে পড়েনি, বস্তুতঃ অনেকদিন ধরেই পাকানো হচ্ছিলো। সলতের কথা বলছি। কৃতি ফাঁসুড়ে যেমন হ্যাওয়ান-হারামী অপরাধীদের ফাঁসীতে মৃত্যু সুনিশ্চিত করার জন্য, দড়িতে মোমতেল থেকে ধূনোর গুঁড়ো, অর্থাৎ এই মর পৃথিবীতে যা কিছু লভ্য, যা কিছু প্রাসঙ্গিক, তার সবটুকু লেপন করে, সলতে, সরি, দড়িকে পাকায়, পাকাতেই থাকে ডেথ সেন্টেন্স প্রাপ্ত (এহ, যেন অলিম্পিকের মেডেল) রজ্জুকে শমনসম হিসেবে ভাবিয়ে তোলার জন্য... তেমনই ষাটের দশকের প্রস্তুতির সলতে বা দড়ি, বলা বরং ভালো, যে, পাকাতে বাধ্য হচ্ছিলো। দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে বেড়াল সত্যিই বাঘ হয়; পাড়ায় সাপ, বিছে, বেড়াল, কুকুর মানে, মানুষ বাদে যা কিছু মারা দরকার, সেই কৃতি ফাঁসুড়ে মাফিক, আমার ডাক পড়ে। বেড়াল মারতে গেলে আমি গলায় মোটা করে গামছা জড়িয়ে নিই, নইলে, বেড়াল, যদি হামলা-তথা-হত্যাকারীর উদ্দেশ্যে পাল্টা আক্রমণের উদ্যোগটা সফল নিয়ে উঠতে পারে; তবে সে টুঁটিটাই কামড়ে ধরবে। নির্ভুল। বুলডগ মারিনি কোনোদিন, অন্যান্য কুকুর তো এমনিই মেরেছি। একবার একটা গন্ধগোকুল (ভামের জাতভাই ধরে নিন) মেরেছিলাম। আর আমি যখন তিন-চার, বাবা, বড়োমামু, পাশের বাড়ীর কিশোরীমামা, শৈলেনমামা বেশ কিছু বাঘরোল মেরেছিলো। দু একবার বাবা আমায় নিয়েও গিয়েছিলো, খুব ঝাপসা, খুব, তবু মনে আছে, নিয়ে যাওয়ার সময়, মা, মায়েরা-যেমন, বাধা দিলে 'পর, বাবা, কি অদ্ভুত, এইটা মনে আছে, বলেছিলোঃ ও একটা ছেলে। ওকে ছেলের মতোই বড়ো হতে দাও। জেন্ডার কন্ডিশনিংয়ের শুরুর সোপান আর কি !
ওই বাবারই ছেলে হয়ে আজ আমি বুঝি যে, কি ছেলে, কি মেয়ে... নিয়ে যেতে হবে। ওই রক্তদৃশ্য দেখার জন্য। হবেই। ইউরোপ তাদের মতন করে অবশ্যই খুবই ভালো, কিন্তু আমরা তা বলে আমাদের মতন করে কণামাত্র খারাপ নই। ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া বয়ঃসন্ধির ভারী সুন্দরী কন্যে, আজ পুঁথি-পত্র শিকেয় তুলে, শাহরুখ খানের পিছনে অন্ধ দৌড় লাগাচ্ছে, তাকে এখনই না থাবড়ালে, বড়ো হয়ে ‘পর এই হেডোনিষ্টিক কালচারের মধ্যে সারভাইভ করার যতদিন বিয়ে না হয়, অন্ততঃ ততদিন এসকর্ট সার্ভিসেই যাবে, এক যদি না তার বাপ নোটের বিলের চূড়ায় বসে থাকে। আর বিয়ে হলে? হোমমেকার; যেখানে না বলা প্রথম বাক্য বোধহয় কতকটা এইরকমঃ একে মেয়েছেলে, তায় লেখাপড়া জানো না, একটা লাল নয়া পয়সা তোমায় দিয়ে ঘরে আসে না; অতএব মেয়েছেলে, মেয়েছেলের মতো থাকবে। বেশী মত-ফত দিতে এসো না। একটি মেয়ে তবেই স্বাধীন, যতক্ষণ সে প্রোডাকশন প্রসিডিওরের মধ্যে আছে, মাসের শেষে কিছু টাকা ঘরে আনতে পারছে। এই যে বয়সের যা, সন্তান সেটা না করলে, এবং পাশ্চাত্য বাপ-মা’রা একটা মিয়্যার চড় মারা আগেও তটস্থ থাকেন; সন্তানকে আবার সেফ হোমে (আমাদের কনসেপ্টে চিল্ড্রেন’স হোম) নিয়ে চলে যাবে না তো, এই প্রয়োজনের-তুলনায়-বেশী গণতন্ত্রের ঠাপে। যন্ত্রণাটা কিন্তু পাশ্চাত্য পিতা-মাতারা বুঝছেন; বেশীদিন আগের কথা নয়; অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রীম্যান কোনো কারণে বলে উঠলেনঃ If you defend your children's misbehavior, one day you will hire a lawyer to defend their crimes. Discipline is not child abuse.
থার্ড সেক্স / জেন্ডারের ব্যাপারে আরো পড়ি, জানি, ব্যাপারগুলো অবধানতায় আসুক। সাধ্যে কুলোলে নিশ্চয়ই বলবো। আপাততঃ বক্তব্য একটাইঃ হিজড়েদের তো আমরা সেক্লুড করেই দিয়েছি, আজ এতোদিন পর, আচম্বিত, ইনক্লুড করতে চাইলে, সোশ্যালি অ্যাজ ওয়েল অ্যাজ, ইকোনোমিক্যালি মেইনস্ট্রিমড করতে চাইলেও, সেটা আদৌ সম্ভব কিনা জানি না। আর এলজিবিটিকিউদের জন্য অনেককিছু বলার যোগ্যতার্জনের ব্যাপারটা, যেমন বললাম আরকি, অবধানতায় আসুক আগে, তার আগে, এটুকু তো বলা যেতেই পারে, যে, ওঁরা ঠিক, বিশ্বাস করুন, একদমই, একইরকম আমাদের মতই দ্বিপদী, দুটো হাত আছে, কর্মক্ষমও, ওঁরাও অক্সিজেন নেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়েন, ঘামেন। ওঁদেরও পিপাসা পায়, খিদে পায়; আর যোগ হলে তো বিয়োগ হবেই, সেই মোশনগুলোও ওঁরা অনুভব করেন। হালকা-পুলকা জ্বরজাড়িও হয়। জিজ্ঞাসা করিনি, তবু্ও নিশ্চিত জানি, ওঁদের অনেকেই কোভিডাক্রান্ত হয়েছেন আমাদের মতোই তাঁরা সিগারেট, গুটখা, খৈনী, জর্দার নেশা করেন; ক্যানসার তাঁদের মধ্যেও ব্যাপকহারে বাড়ছে, কেননা, আমাদের মতোই তাঁদের প্রথম বাইশ জোড়া ক্রোমোজোমের গঠন, জাষ্ট আইডেন্টিক্যাল; ২১ তম জোড়ার ক্রোমোজোমে ক্যানসার, অ্যালঝাইমার্স, পার্কিনসন্স, অ্যাস্থামা ফালানা ফালানা ম্যাপড হয়ে আছে, ওঁদের, আমাদেরই মতো। এবং মরে গেলে ইলেক্ট্রিক ক্রিম্যেটরও ওঁদের একইরকমভাবে পুড়িয়েছে / পোড়াচ্ছে / পোড়াবে (সংবিধানের সতেরো নম্বর ধারাকে পাবক পর্যন্ত সেলাম করছে, যে ধারাকে পিভ্যটাল করে, নিজের জীবন দিয়ে অনুভব করে, বাবাসাহেব আম্বেদকর, রাত-দিন দুবেলা খেটে, অবশ্যই কয়েকজন লাইক-মাইন্ডেড মানুষকে পাশে পেয়েছিলেন; আধুনিক-কিন্তু-মর-মনুষ্য-জীবনের-গীতা লিখে গিয়েছেন, এই ভারতবর্ষ নামের দেশটার সব আইনের জননী যেটা; অনলের ইচ্ছে অন্যরকম ছিলো কিনা জানি না; যদি হয়েও থাকে; তাহলে, সন্তানে দিতে কোল ছাড়ি সুখ কৈলাস, বরাভয় রূপে মা শ্মশানে করেন বাস, সেই তিনি, গর্ভধারিণী না হয়েও, যিনি, শ্বাশত সৃজনকারিণী, পালয়িত্রী, যাঁর এক কটাক্ষে অপিক্ষেতে থাকা সন্তানের মুক্তি ভিক্ষে সম্পূর্ণ হয়; সেই মায়ের নির্বাক কিন্তু একটা চাউনিতে হুতাশন, নতজানু হয়, সহবৎ শেখে; তার অ্যাক্স্পটেন্সে অ্যাগালিটি আসে, সংবিধানের সতেরো নম্বর ধারা, অবশেষে, আল্টিমেটের কাছে গৃহীত হয়); আমাদের মতোই তাঁরা সবুজহীনতায় বাঁচেন।
সুতরাং, আর যাই হোক, কোনোও রকম সেক্লুশন যেন না হয়, নিজের মনের মধ্যে ইনক্লুড করতে পারি বা না পারি, সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক্যাল ইনক্লুশন যাতে অবশ্যই হয়। এই যে অ্যাতোক্ষণ ধরে আমরা - ওঁরা করলাম, এটা কোনোও দ্বিবিভাজন নয়, বারংবার এলজিবিটিকিউ লেখার আলিস্যি। জাষ্ট আলিস্যি। কতটা ফালতু বকলাম, এর মধ্যেই, নিশ্চয় খেয়াল করেছেন।
হাউএভার, ষাটের দশক। হালাঁকি, লা পার্তে অক্সিদেন্তাল দেল মুন্দো। স্মৃতি, এমন এক খচ্চর মাগী, যে আমার মগজের মধ্যে ককেটিশলি ঢুকে এমন খেলা দ্যাখায়, যে, আমি, অ্যাম্নেসিয়ার ওষুধের একটা গোটা স্ট্রিপ শেষ করার আগে থামি না; তবে গজব তামাশা এই যে, এ শালীর এহেন আচরণ বাল্যইস্তক। তা সেই সতীনন্দিনী আজ যদি আমায়, কৃপা করে সাথ দেয়, তাহলে... তাহলে কি? - তাহলে, ১৯৬৭ সালে সামার অফ লাভ ঘটা করে আস্তানা গেড়েছিলো সান ফ্রান্সিসকোতে। অবশ্যই কাউকে কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। কিভাবে যেন-তবে কালেক্টিভলি সিদ্ধান্তে হয়েছিলো সেটা। ইউরোপ তো বটেই, এমনকি, প্রতিবাদ, ঠিক প্রতিবাদও নয়, অনেকটা যেমন-খুশী-সাজো'তে খোলামেলা পোশাকের মেমসাহেবদের দেখতে পাওয়ার আশায় মিডল ইস্ট এশিয়ার পেট্রো-ডলারের দেশেগুলোর কিছু কামুক-কিন্তু-নিজেদের-রিপিট-নিজেদের-মহিলাদের-বেলায়-আঁটিশুঁটি, আর পরের-বেলা-হলেই-দাঁতকপাটি, কিছু বেনেও হাজির হয়েছিলো সান-ফ্রান্সিস্কোতে।
রোমের পোপ তখনো পর্যন্ত বেধড়ক খিস্তিখেউড় করে যাচ্ছে সামার অফ লাভের উদ্দেশ্যে।
সামার অফ লাভ তো প্রত্যেক পরম্পরাকে বিনীত কেন দিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেছিলো। আর এ’ কথা তো জানাই যে, সব কাস্টমসের সঙ্গে ছাত্রবন্ধু দেওয়া হয়নি। ফলতঃ অ্যাবস্ট্র্যাক্ট উত্তর দুর্লভ ছিলো না; কোনো কোনো জায়গায় নীরবতাও ছিলো। তা’ বলে সামার অফ লাভের একাংশ চলে গেলো পরম্পরাকে ধমকাতে, চমকাতেঃ ‘যদি কারণ-ই না জানবি, তাহলে আমাদের দিয়ে অ্যাতোদিন মানালি কেন, বানচোত? এর ক্ষতিপূরণ কিভাবে দিবি, ভেবেছিস?’ এই ধমকানো-চমকানোর সঙ্গে ছিলোঃ এবার? এবার আমরা কি করবো? এক শঙ্কা মেশানো অনিশ্চয়তা। কেননা জীবন। কেননা, এতদিনের বেঁচে থাকার জন্য তৈরী হওয়া অভ্যাসসমূহ। সাহেবদের একটা ভারী অদ্ভূত স্বভাব আছে, কয়েনের এক পিঠ দেখতে পেলে ‘পর অন্য পিঠটা কেমন, সেটা জানার প্রবল আগ্রহ, এমনকি তখনো, যখন কিনা কয়েনের দেখতে পাওয়া সাইডটাকেই ভালো করে নিরীক্ষণ করা হয়ে ওঠেনি। ওদের প্রায় সব কিছুতে আদার সাইড কথাটা অনেকটা গ.সা.গু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে আদার সাইড (ভাইড, হাইওয়েমেন, শিরোনাম গান) বা দ্য স্করপিওন্সের গাঢ়, ঘন ভালোবাসার গান, লাভ উইল কিপ আস অ্যালাইভ অর্থাৎ কিনা ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও আদার সাইড। তবে এ’সব কিছু সামার অফ লাভের পরে, শেষোক্ত গান অনেক পরের। প্রসঙ্গে ফেরা যাক, অবশ্য এইক্ষেত্রে খুব একটা অপ্রাসঙ্গিক হওয়া উঠতে পারা যায়নি, যাই হোক, পরম্পরার প্রাসাদোপম অট্টালিকাকে হুড়মুড়িয়ে পড়তে দেখে, এবং অথচ, পরের পা কোন্ দিকে ফেলতে হবে না জেনে, সামার অফ লাভের এক বিরাট অংশের মধ্যে একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ শৈথিল্য জমা হচ্ছিলো।
দুই ধারা জন লেনন, দ্য ইম্যাজিন, দ্য ডোর্স, ব্রেক অন থ্রু টু দ্য আদারসাইড, অর্থাৎ বৃহত্তর জ্ঞানের পথে যে অন্তরায়; এই পরম্পরার নীতি (কাষ্টমারী ল’) হতে পারে, হতে পারে আইন (এটার ডাইরেক্ট এক্সপ্ল্যানেশন আছে; সো হোয়াট বলে একটা আদ্যন্ত র্যেহটরিক গানে, মেটালিকার গান, দ্য ডোর্সের ওই ব্রেক অন্ থ্রু টু দ্য আদার সাইড গানটা থেকে ফারদার ডিপারচ্যরের গান), হতে পারে নিজের মধ্যে কুন্ডুলী পাকিয়ে জড়ো হয়ে থাকা ভয়... এরকম অনেক কিছু এবং তাকেই তছনছ করে, সেই জ্ঞানের দিকে দেওয়ার ঊর্দ্ধশ্বাসে ধেয়ে যাওয়ার গান, ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা তোমার পানে, তোমার পানে, তোমার পানে, যায় যেন মোর সকল গভীর আশা যথা। সেখানে গিয়ে কাকে দেখবো, জানি না। সে যদি বা মালিকও হয়, সে কেমন জানি না, অপিচ, সে কি প্রভু সম্বোধনের জন্য আশা করে? তার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে গেলে, সেও কি দুহাত বাড়িয়ে কাছে, বুকে টেনে নেয় না?
আর একটা চাঙ্কের মধ্যে, ভালোবাসা না পেলেও সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে আদার সাইডে যাওয়ার বাসনা (অ্যাজ ইফ, ধর্মতলার মোড় থেকে সরকারী বাস ছাড়ছে) জাগছিলো। একটা স্পয়লার এইরকমঃ জীবনের উপান্তে এসে সব শালা বুঝেছে, ভাঙার চেয়ে গড়া কঠিন অতি, এমন কথা বুঝেছি সম্প্রতি। এনিওয়ে, এই সাইড কার্সড, শালা এখানে জন্মানোই ভুল হয়েছে, এখানে কি হয়? – জানি না। ওখানে কি হয়? – জানি না। পরন্তু এটা তাহলে কি করে জানলাম যে,
We chased our pleasures here
Dug our treasures there
তবু, শালা তোর চাল আর খাবো না, এই আমি চললুম কেস আর কি !
কিন্তু না গিয়েও, জানলাম কি করে, যে, ওখানের যা যা সম্পদ, সব খুঁড়ে, নিংড়ে নেওয়া হয়ে গ্যাছে, ইতোমধ্যে? যাই যখন নি, তার মানে এটাই যে, আমি খুঁড়িনি। আমি খুঁড়ে থাকলে জায়গাটা তো আমার চেনা এবং লুন্ঠিত; আমিই লুটে নিয়েছি। তাহলে যাওয়ার জন্য অতো হাঁকপাঁক করা কেন? আবারও ভাবের ঘরে চুরি। তবে এবার সাহেবে করেছে, এই যা। আমার এজলাসে শাস্তি কিন্তু এক। তা’ সে গায়ের রঙ যাই হোক না কেন !
নাকি, কেউ নীলকণ্ঠ হয়ে গেলে, ভালোবাসা, মাতৃত্বের জায়গা নেয়, তার বুকের দুধেই থাকে হলাহলের তামাম খন্ডন... ঠিক কি? – জানতে গেলেই, চলো যাই, হ্যাঁ, এখানেও মন নিয়ে কাছাকাছি, তুমি আছো আমি আছি, পাশাপাশি... তবে ঘুরে আর ফিরে আসা হবে না। সেই যে, ছোটবেলাকার হ্যান্ডবিল; - সব জ্যোতিষী বারবার, অমৃতলাল একবার। তা অমৃত পেলে কে আর যাবে, আবার? LOL, তার তো দিব্যজ্ঞান লাভ হয়েই গেছে। আচ্ছা, কি সেই দিব্যজ্ঞান, যাকে, চাটুতে ফেলে সেঁকার সময় উল্টে দিলে ব্রহ্মজ্ঞান শব্দটা দেখতে পাওয়া যায়?
আমার বরাবরই মনে হয়েছে, যে, পাশ্চাত্যের অ্যাতো প্রবল আগ্রহ আদার সাইডে যাওয়ার, তা আদার সাইডটা কেমন, সেটা কি ওরা একবারও কল্পনা করেও দেখেনি? আর আদার কি একটাই সাইড? ওটা কি আদার সাইডস হতে পারে না? দেখেছে, রীতিমত আঁক কষে দেখেছে। ওদের আদার সাইডে যাওয়ার আগে থেকেই খাড়া করা কিন্তু নড়বড়ে কারণটা এ’রকম –
I found an island in your arms
Country in your eyes
Arms that chain us
Eyes that lie
Break on through to the other side
সংরাইটার হিসাবে চারজনের নাম দেখতে পাই, প্রথম নামটাই জিম মরিসনের। জানি না, ব্রেশট এঁকে পেলে কি করতেন, কিভাবে জড়িয়ে ধরতেন বুকে, কতটা স্ন্যাগল থাকতো দুজনের, পরষ্পরের প্রতি। স্ববিরোধিতাকে তো ব্রেশট সবচাইতে ওপরে রাখতেন; আর সে রাখার মধ্যে, আমি অন্ততঃ, দোষের কিছু দেখি না। কোনো এক অন্য জায়গায় বছর দু-আড়াই থাকবার সময়, জয়িতা, মম বেটারহাফ (বেস্ট আদার-ও বলা যেতে পারে), রান্নাঘরের দরজার ওপরে মা-সারদার একটা ছবি টাঙিয়েছিলো, মা-সারদার প্রতি আমি একটু ইন্ডিফারেন্ট, কেন জানি না, শ্রীরামকৃষ্ণের আলোয় আলোকিত বলে মনে হয়; হঠাৎ একদিন মনে হলো, মা সারদার ছবিটা নামিয়ে, সেটার ওপর একদলা কফ ফেলে দিলে কেমন হয়, সেসময়, আমার যেটা খুব বিরল, সেই কাশি হয়েছিলো; বলে রাখা যাক, যেখানে আমার ভক্তি ও তামাম বেঁচে থাকার বকলমা রাখা আছে, সেখানেও, সেখানেও, সেখানেও একটা অন্তর্লীন মন এরকম কথাই বলেছে বা আরো কদর্যকিছু; একবার নয়, বারংবার; এবং আমি, তাকে, সেটা বলে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে, সে সময়ে যা করণীয়, করে গিয়েছি। থামিনি। মুকেশ সাহেবের একটা গানের প্রথম কলিটা এইরকম নাঃ মন্দ বলে লোকে, বলুক না? সেইরকম আর কি; - একটা মন মন্দ বলে, বলুক না; আমি হাঁটবো সেই রাস্তায়, যেখানে আমার হাঁটা, কি বলবো, সেই শব্দটাই বলি, যেটা নিজেকে বলি? – যে রাস্তায় আমার হাঁটা ডেস্টাইন্ড হয়ে আছে।
...কিন্তু স্ববিরোধিতার শেষ কথা বলা যায় না কি, ওপরের ভার্সটাকে। আমার মনে হয়, যায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, স্ববিরোধিতাকে অ্যাতো ফোকাসাচ্ছি কেন? দেখুন, মগজ, যে ভাবে, ভাবতে জানে, তার একটা ভাবাকেই, যদি চিরপ্রণম্য অগ্নি জ্ঞানে ভাবি, তাহলে কি, ওপরে, ...যিনি, চিরভাস্বর এখানে তাঁকে ইনফিরিয়র করে, ওখানে সুপিরিয়র করে দেওয়া, কার্যকারণ ছাড়াই, ওসব ধান্দাবাজের নাঙছেনালী, সরি টু স্যে, করতে পারবো না। আমি এখানে যেটা বলতে চাইছি, সেটা হলো, বহুচর্চিত সেরেব্রামের একটা ছোট্ট অংশ, কিছু একটা ভাবলো, আর টপ করে সেটা বাণী হয়ে গেলো, ব্যাপারটা ঠিক তা নয়, তাকেও রিজনিংয়ের মধ্য দিয়েই আসতে হয়। তবে একজাতীয় মানুষ আছেন, যাঁরা মুখে এলো বলে ফেললুম, পোঁদে এলো হেগে ফেললুম টাইপ লাইফ কাটান, তাঁরা এই পার্থিব আলোচনার অনেক ঊর্দ্ধে, তাদের শেষ প্রণাম জানিয়ে এক্সিট গেট দেখিয়ে বলি, দাঁড়ান, ওঁদেরকে এখন এক্সিট ওয়ে দেখাচ্ছি।
কিন্তু ব্রেশট বক্ষলগ্ন করেছেন বলেই তো সাতখুন মাফ তা তো আর নয় রে, ভাই। ১৯৬৯ এর মায়্যামী কনসার্টে কি হয়েছিলো? মাস হ্যালুসিনেশন (ভাইড, মায়্যামী হেরাল্ড) এতো বড়ো কোনও শাক-পাতাড়ি নয়, যে মাছ পুরোটাই ঢেকে ফেলা যাবে। নাকিঃ ‘ইয়ে, মানে, হলোটা কি, বলতে চাইছি যে, ওখানে নিজেকে বড়ো বেশী এক্সপোজ করা হয়ে গিয়েছিলো।’ স্বীকারোক্তি দিলেই মুক্তি, কেননা স্ববিরোধিতা, কেননা কল্পিত ব্রেশটের বক্ষলগ্ন হওয়া... জিনিসগুলো মোটেও তেমন সহজ নয়, যেমনটা মনে হয়; জিনিসগুলো মোটেও তেমন কঠিন নয়, যেমনটা মনে হয়। অডিয়েন্স পাগলের মতো ‘লাইট মাই ফায়ার’ শুনতে চাইছে, রক-ন-রোল (রেফঃ এল্ভিস প্র্যেসল্যি) থেকে রক (রক কোনও গান যে নয়, রক যে একটা আন্দোলন, এটা আজ সবাই জেনে গেছেন; কিন্তু এর পিছনে? মূল কারিগর এবং যে কারণে রক এতো সমাদৃত, এতো অ্যাক্সেপ্টেড হলো? – হ্যাঁ, সামার অফ লাভ) তখনো পুরো আদল পায়নি; কিন্তু অডিয়েন্সের আবদার না শুনে পরপর সস্তা চটুল গান, হ্যালো আই লাভ ইউ, ওন্ট ইউ টেল মী ইয়োর নেম চলছে, দ্য এন্ড বা রাইডার্স অন দ্য স্টর্ম গাওয়া হচ্ছে না, গণ হিস্টিরিয়াকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বিপ্লবের সলতে পাকানো হচ্ছে। তা কেমনতর সে বিপ্লব? ১৯৬৯ এর ওই অভিশপ্ত, ছ্যাচঁড়ামী, আর ছেনালীপনায় টলটল করা মায়্যামী স্টেজ শো’র আগের দিন একই মঞ্চে একটা নাটক হয়েছিলো। জিম মরিসন এবং বাদবাকী দ্য ডোরস’এর পুরো দলবল সে নাটকটা দেখেছিলেন। সেখান থেকে বাক্য ক্রপ করে নিয়ে, পরদিন, লাইভ পারফর্মেন্স চলাকালীন, গান থামিয়ে, হোয়াই ডোন্ট উই হ্যাভ আ রিভ্যোল্যিউশন হিয়্যার? রিভ্যোল্যিউশন তো ছেলের হাতের বহড়ুর মোয়া, কিংবা আগের দিন রাতে পার্গেট্যরির এফেক্ট। মোশন এলো পুরোদমে, কমোডে বসলাম; বিপ্লব শুরু, এক মিনিটের মধ্যে বিপ্লব শেষও। পারপাস সার্ভড; আর বিপ্লব মারিয়ে কি হবে। তো সেই রিভ্যোল্যিউশন এবং সেখান থেকে শুরু করে, বাক্য উঠলো গিয়ে শেষে ডু ইউ ওয়ন্ট টু সী মাই কক্? তারপর আর কি... মার্কিন পুলিশ; আউট অ্যান আউট ফেলোনির মামলা; ল্যেঃ, এবার নিজের গাঁড় সামলা। সামলাতে গিয়ে পারী। সেখানে ঘাপটি মেরে বসে থাকলে, মার্কিন পুলিশ, গু মাখলে কি যমে ছাড়ে রে, ফেলোনিতে বুক একবার করে-যখন-ছে, গাঁড় মেরে হাতে ধরিয়ে তবে ছাড়বে। হয়েছিলোও তা (রেফঃ রোলিংস্টোন ডট কম); বিপ্লবীর গাঁড়ে আছোলা বাঁশ ঢুকতেই ওই স্বীকারোক্তিঃ 'Uh-oh, I think I exposed myself out there,' এবং এটা এক বার নয়, ৬৫ – ৭০ এর মধ্যে বারবার ঘটেছে। জিম মরিসনের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নেই, বিহাইন্ড দ্য ক্লোজড্ ডোরস তুমি তোমার মতো চলতেই পারো, আইন টপকালে ঝাড় অনিবার্য; কিন্তু সেটা আমি দেখতে যাবো না; অ্যান অথর ইজ নট দ্য পার্ট অফ হিজ টেক্সট; আমার কৌতুহল তোমার গানগুলোকে নিয়েই। আর অস্থিরতা স্বাভাবিক, স্বাভাবিক বলেই পাঁচিল ভাঙার গান; তাই বলে তুমি পাবলিক প্লেসে মাস্টার্বেট করতে পারো না; ওটা অস্থিরতা নয়, উচ্ছৃঙ্খলতার অসংযত প্রকাশ। অস্থিরতা তো থাকে। থাকে বলেই জনৈক রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান অতো কিছু লিখেছেন, হাতে তুলে নিয়েছেন গিটার, আয়ুধ যেন বা... জোয়্যান বায়েজ ছুটে বেড়িয়েছেন পৃথিবী ফুঁড়ে, প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, অস্ত্র? - গান। পল সাইমন চুপচাপ করে গেছেন নিজের কাজ। এঁদের থেকে অনেক দুরত্ব বজায় রেখে। নিজেকে ফিরে দেখার গান, ভালোবাসাকে ফিরে দেখার গান, ...মানুষকে ফিরে দেখার গান। বিটলসের উদ্দাম জনপ্রিয়তাকে অনায়াসে লাথ মেরে নিজের ঘরে ঢুকে খিল দিয়েছেন জন লেনন, দাঁড়িয়েছেন আয়নার সামনে এবং এক একটা আগুন বেরিয়েছে অতঃপর। এবং অতি অবশ্যই পিঙ্ক ফ্লয়েড, কম্ফোর্টেবলি নাম্ব এবং মাদার এই সভ্যতা-ব্যবস্থার কাছে দুটো আপোরিয়া, এবং আরও অজস্র গান। এই ব্যাটনটাই কাঁধে তোলার চেষ্টা পরে করেছে মেটালিকা এবং মেগাডেথ কিন্তু পিঙ্ক ফ্লয়েডের বয়ে নিয়ে চলা ক্রশের ভার বড়ো, বড়ো বেশী। তবু চেষ্টা তো একটা করেছে; রক ইউ লাইক আ হ্যারিকেনের মাঝখানেও দ্য স্করপিওনস’র প্রয়াসও নজর এড়াবার নয়।
ভাবতে একটু অবাক লাগে না, যে, খুবই কাছাকাছি সময়ে সাদা ধুতি আর ফুলহাতা শার্ট পরা এক ভদ্রলোক সুর করছেনঃ কুছ দিল নে কঁহা, কুছ ভি নেহি, কুছ দিল নে শুনা, কুছ ভি নেহি, অ্যায়সে বাঁতে হোতি হ্যায়। কিংবা ১৯৭১ সালের আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা...
আমার যে মনে হয়, যেখানেই যাও, যতদূরেই যাও, শান্তি পেতে গেলে, প্রাচ্যের কাছেই আসতে হবে; এটা আমি প্রাচ্যের ছেলে বলে নয়; একান্তই নিরপেক্ষভাবেই বলা; আর একটা কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাক, প্রাচ্যের যে দেশ, একটা সময় অবধি, যত অভাবে থেকেছে, সেখান থেকেই শান্তি বিচ্ছুরিত হয়েছে বেশী। কথাটা ২০২৩ শে কেন, ১৯৯০ এর পর থেকেই প্রযোজ্য থাকেনি; এর কারণ ইসলাম ধর্ম। ইসলাম ধর্মালম্বীদের কোনও দোষ আমি দেখি না; ধর্মটা সবার শেষে এসেছিলো অনেক প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু প্রথম যেদিন এসেছিলো; সেদিন আর আজ, ২০২৪ এর প্রথম ভোর, ধর্মটা এক ইঞ্চি নড়লো না। এর দায় ইসলামের ধ্বজাধারীদের; তাঁরা ধর্মটার সংস্কার করতে দেননি। কামাল পাশার মতো খান পঁচিশেক মানুষ একসঙ্গে পৃথিবীতে এলে নিজের নামের মানে দেখাতো ইসলাম ধর্ম। সবাই শ্রী কাজী নজরুল ইসলাম, শ্রী সৈয়দ মুজতবা আলী বা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (তাঁর জীবনের সিংহভাগ তো ফ্রান্সে কেটেছে) নন, হতে পারেন না; অনেক ধক লাগে তার জন্য।
হ্যাঁ, যে কথা হচ্ছিলো, ধরুন, এই লেখাটা, এটা লিখতে গিয়ে আমি কি কোনোও রেফারেন্স চেক করছি না, আলবৎ করছি, করতে হচ্ছে; সেরেব্যেলাম আর সেরেব্রামের সেই যে সেই ছোট্ট অংশ, যা ভাবাচ্ছে আমায়, আমি কিন্তু ঠিক সেটাই লিখছি না; এক তো কাফকা'র সেই অমোঘ উক্তি; - পৃথিবীর সব ভাষাই মস্তিষ্কের ভাষাকে অনুবাদ করতে অক্ষম। তার ওপর ডাউট হলেই থার্ড আম্পায়্যারকে রেফার করছি; তারপর যেটা, মোটের ওপর ঠিক হলেও হতে পারে বলে মনে হচ্ছে, সেটা লিখছি। ব্লগে দেওয়ার আগে আবার চেক করবো। কেন? কেউ খাল কেটে কুমীর ডাকতেই পারে, কারণ কুমীর যদি আসতে পারে, তাহলে সীফীশও আসবে, কিন্তু, কে লোক ডেকে, সেধে, যেচে, খিস্তি খেতে চায় বলুন তো? প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা যাক, নারকোটিক ড্রাগ (ফেন্সিডিল কেস তো জানেন) আর সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সের প্রতি অনুরাগ (অনুরাগ?! - জীবনে এর থেকে ভালো ইউফেজিম আর করিনি বোধহয়), কিছু স্কিজোফ্রেনিয়া এবং যেটা অত্যন্ত, রিপিট, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো, সেরেব্যেলামের কে, কি, কোথায়, কেন ইত্যাদির সঙ্গে অটিজমকে দেখা হচ্ছে। ইদানীং। কি কথার পৃষ্ঠে, যেন এসব, যেমন কিনা ডাক্তার, কথা উঠলো? ওহ, হ্যাঁ, স্ববিরোধিতা।
ওরা জানে যে, আদার সাইডে যদি বা ভালোবাসা পাওয়া যায়, লাথ মারবার জন্য পরমান্ন পাওয়া যাবে না। পরমান্ন হয় সেখানে নেই, নচেৎ এতোটাই আছে, যে, লাথাতে লাথাতে পা খুলে যাবে হাঁটুর জোড়ন থেকে। তবুও যেতে ওদের তাড়া লাগে খুব, যেন এই সাইডে আর বেশীক্ষণ থাকলে সর্বনাশের নদী বহে যাবে, তাতে হড়পা বান ডেকে যাবে। আর আদার সাইডে যাওয়ার ভাড়া? – কেন, এই সাইডে পাওয়া ভালোবাসা !
The time to hesitate is through
No time to wallow in the mire
Try now we can only lose
And our love become a funeral pyre
Come on, baby, light my fire
Come on, baby, light my fire
Try to set the night on fire, yeah
এই সময়ের অনেকানেক গানে শুধু হাই হয়ে যাওয়ার ঈপ্সা। বোঝা যায়, অনেক ঝড় জমা হয়েছিলো; এক ক্যাথলিকরাই এদের কন্ঠনালীতে পা তুলে রেখেছিলো, বেরোনোর পথ পেয়ে, অবরুদ্ধ যন্ত্রণা বেরোচ্ছে না; বেরোতে পারবে এই আনন্দে বহুবিধ নেশায় তলিয়ে যাচ্ছে, তলিয়ে যাওয়ার আগেও এই সাইডের প্রতি কি ঘৃণা, কি দ্বেষ –
দুনিয়াঁ নে হামকো দিয়া ক্যেয়া?
দুনিয়াঁ সে হামনে লিয়া ক্যেয়া?
হাম সব কি পরোয়া করে কিঁউ?
সব নে হামারা কিয়া ক্যেয়া?
#
চাহে জিয়েঙ্গে, মরেঙ্গে
হাম না কিসিসে ডরেঙ্গে
হামকো না রোকে জমানা
যো চাহে হাম করেঙ্গে
ঠিক এইখানে এসে সিংহী জেব্রার টুঁটি কামড়ে ধরে। মাটি নেয় মূল্যহীন পাশ্চাত্যবোধ, তার টুঁটি কামড়ে ধরে অসীম ধনে ধনী ওরিয়েন্তাল মূল্যবোধ; ধরে তাকে আদৌ মারে না; বরং বাঁচতে শেখায়; ভোগের উল্লাস এবং ত্যাগের আনন্দ তুলাদন্ডে ওজন করতে বোলেঃ কিছুক্ষণ পরে আসছি, ততোক্ষণ তুই ভালো মতো করে ওজনটা করে নে, আমি এসে তোর কথা শুনবো, বলে আহত অক্সিদেন্তালকে একা থাকতে দিয়ে চলে যায়।
প্রসঙ্গ যখন উঠলোই, তো বলি, দেবানন্দের মতো লাখ লাখ সিনেমার হিরোর ধীশক্তি কি করে যে অ্যাতো হীন হতে পারে, সেটা না দেখলে যদিও বা বিশ্বাস করা যায়, দেখলে এক্কেবারেই করা যায় না। অথচ সেই ডিকহেডের কাছ থেকেই আমরা হরে রাম, হরে কৃষ্ণ পেয়েছি; ইন্ডিয়ান সিনেমা আদপে যে সামার অফ লাভকে কভার করা বা করতে না পারা তো দূরের কথা, প্রকৃত প্রস্তাবে করতে চেয়েছে কিনা, সেরকম তথ্য আমার কাছে অন্ততঃ নেই। হিপি বলে এককথায় গল্প শেষ করা যায় না; কিছুই বোঝানো যায় না তাতে।
দেখো ও দিইয়ানো অ্যায়সা কাম না করো
রামোঁ কা নাম বদনাম না করো
রামোঁ নে হাস কর সব সুখ ত্যায়েগে
তুম সব দুখ সে ডরকে ভাগে
রামোঁ কা নাম বদনাম... কে রাম, বাঁড়াটা? তোদের রামকে, মোল্লাদের মহম্মদকে, নিজে ক্যাথলিক হয়ে কি ক্রাইস্ট, কি বারোভাতারি মাতা মেরী, যে মাগী মা হয়েও নিজের বুকের দুধ দেয়নি বুকের শেপ খারাপ হয়ে যাবে বলে ! অ্যাঁ, ইম্মাক্যুলেট কনসেপশন, না বাঁড়ার মাথা !
সব শালাদের আমি প্যান্টির ভিতর রাখি। প্যান্টির ভিতরে প্যাড, ট্যাম্পন নিয়ে বয়ে বেড়ালুম, আর এ বোকাচোদা নীতিকুমার সেজে রাম মারাতে এয়েচে! চ’, বানচোত, চ’, তোদের ইন্ডিয়াতেই যাবো, তোদের ল্যাওড়া ভারী ঘ্যাম না, যে, সারা পৃথিবীকে তোরা শূন্যর ধারণা আর মুক্তিমন্ত্র দিয়েছিস! ফর ফাক সেক, প্যান্টিতে রাম ভরে নিয়ে রামের দেশে যাবো, চ’। দেখি আমাদের কোন্ মুক্তির মন্ত্র তোরা দিতে পারিস !
... তো শোন, যেখানে যেতে চাইছিস তোরা, সেখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল বলে একটা রাজ্য আছে, সেখানে লোকে বাংলায় কথা বলে, সেখানে অরুণ মিত্র বলে একটা লোক কবিতা লিখতো। নাহ, তোদের ডিলান টমাসের মতো ফেমাস ছিলো না সে। খুব অন্তর্মুখী মানুষ; তার একটা কবিতার নাম, জনম দুখিনীর ঘর। যে দেশে যেতে চাইছিস, সেটার পুরোটাই জনম দুখিনীর ঘর। তা জনম দুখিনীর ঘর যখন, তখন সেখানে কি পাওয়া যাবে বলে তোরা আশা করিস? স্নেহ আর অশ্রু ছাড়া? অশ্রু কেন? – স্নেহ রয়েছে অথচ সে স্নেহ দিয়ে একথালা ভাত আর ডাল দেওয়ার ক্ষমতা নেই; জনম দুখিনী যে সে, তবু ভিক্ষান্নের জন্য ত্যাবড়ানো আলুমিনিয়ামের সান্কি পাততে সে শেখেনি, বরং খালি পেটে থাকতে শিখেছে দিনের পর দিন। কিন্তু নিজে সে খালি পেটে থাকুক বা না থাকুক, যার প্রতি তার স্নেহ যায়, তাকে একটু ভাত দিতে না পারা তাকে কাঁদায় রে। এই জনম দুখিনীর ঘরেই ওই দেশ গোটা থেকেছে, শূন্যকে ওই দেশ চিনবে, না কি, তোরা চিনবি? আর ওই কিছুই না পাওয়া, দু হাত বাড়ালে শুধুই শূন্যতা... একদিন কি দিকদারি ধরবে না শূন্যের প্রতি? একদিন কি মনে হবে না যে, এই শূন্যতা থেকে, এই কিছুই নেই থেকে মুক্তি কি নেই? যদি থাকে, তাহলে মুক্তিমন্ত্র কে দেবে? উত্তরও পেয়েছে তারাঃ নিজেকেই দিতে হবে নিজেকে, সেই মুক্তিমন্ত্র।
কিসের মুক্তি চাই তোদের? তোদের তো সব ছিলো; এই যে এখন কপর্দকশূন্য সেজে বেড়াচ্ছিস, এ তো তোদের ভিকিরি ভিকিরি খেলা একটা। সত্যিকারের ভিক্ষান্ন থেকে মুক্তি পেতে গিয়েই ওই দেশ পরম মুক্তিকে খুঁজে পেয়েছে; ফাউ হিসাবে নয়; যথাবিহিত শ্রম এবং ভক্তিপুরঃসর সাধনা করে।
আমার
স্বপ্ন ভরা লাগেজ নামাও
এই কুলি মহাকাল
কাঁধে তুলে নাও
নিজেরই বৃত্তে ঘুরে মরে না যে গ্রহ
সেই গ্রহ গাড়িটাতে তুলে দিয়ে যাও
#
ভাড়াটা
বড্ড বেশী
এক হাজার মায়া
আর দুশো ভালোবাসা
খুচরো খরচ কিছু আশা প্রত্যাশা
এছড়া জলাঞ্জলি দিতে হলো ভাষা
তা হোক
তবু
আমি নেমে যাব
আমার টিকিট কাটা অনেক দূরে
এ গাড়ি যাবে না
আমি অন্য গাড়ি নেব
শেষোক্তগান প্রাচ্যের, হারানোর যন্ত্রণা সেগুলোর-ই আছে, যা যা একসময় ছিলো। উপরন্তু, সে শুধু নিজের কথা ভেবে থমকে থাকেনি; ঘাড় উঁচিয়ে কাছের সব্বাইকে দেখতে চেয়েছে। তাই মায়া বলে শব্দটা ওদের। তোদের নেই। তোদের স্নেহ আছে; কিন্তু মায়া নেই; ফলতঃ কোনোদিনই তোরা বলে উঠতে পারবি নাঃ কিছু মায়া রয়ে গেলো। এ যাওয়া তো পরম যাওয়া, পরম যাওয়ার অব্যবহিত আগে এ এক পরম খেদোক্তি। একেই বলে পিছুটান। আদার সাইডে যে নতুনকিছু মিলবে সে প্রতিশ্রুতি, ওরিয়েন্তালকে কেউ দেয়নি; ফলতঃ প্রত্যাশা? – না, নেই। ন্যাক্সডাম ফাইভ হান্ড্রেড খাওয়ার অব্যবহিত পর তীব্র মাথাব্যথা যেমন; - চলে গেছে, সিম্পল।
কিন্তু এটাই শেষ কথা নয় সামার অফ লাভের। সামার অফ লাভকে প্রকৃত অর্থে ধারণ করতে পেরেছিলেন কিছু মানুষ। তাঁদের দেশের ভৌগলিক মানচিত্র দিয়ে আটকানো যায়নি। যাওয়ার কথাও না; এক বিশ্ব সৌভ্রাতৃত্বের কথা তুললেন এঁরা –
Imagine
there's no countries
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion, too
ঠিক এই জায়গায় সামার অফ লাভ ব্যাখ্যাত হলো পূর্ণতা নিয়ে। এরপর সময় থেকে এগিয়ে গেলো –
Imagine no possessions
I wonder if you can
No need for greed or hunger
A brotherhood of man
ভালোবাসাকে, টেনে এনে আয়নার সামনে দাঁড় করালে –
She was beautiful as southern skies the night he met her
She was married to someone
He was doggedly determined that he would get her
He was old she was young
From time to time
He'd tip his heart
But each time she withdrew
Everybody loves the sound of a train in the distance
Everybody thinks it's true
Well eventually the boy and the girl get married
Sure enough they have a son
And though they were both occupied with the child she carried
Disagreements had begun
And in a while
They fell apart
It wasn't hard to do
Everybody loves the sound of a train in the distance
Everybody thinks it's true
Two disappointed believers
Two people playing the game
Negotiations and love songs
Are often mistaken for one and the same
Now the man and the woman they remain in contact
Let us say it's for the child
With disagreements about the meaning of a marriage contract
Conversations hard and wild
But from time to time he makes her laugh
She cooks a meal of two
Everybody loves the sound of a train in the distance
Everybody thinks it's true
What is the point of this story
What information pertains
The thought that life could be better
Is woven indelibly
Into our hearts and our brains
একই ভালোবাসা, অন্যের দর্পণে এইভাবে বিম্বিত হলো –
You've painted up your lips and rolled and curled your tinted hair
Ruby, are you contemplating going out somewhere?
The shadow on the wall tells me the sun is going down
Oh, Ruby
Don't take your love to town
It wasn't me that started that old crazy Asian war
But I was proud to go and do my patriotic chore
And yes, it's true that I'm not the man I used to be
Oh, Ruby
I still need some company
It's hard to love a man whose legs are bent and paralyzed
And the wants and the needs of a woman of your age, Ruby, I realize
But it won't be long I've heard them say until I'm not around
Oh, Ruby
Don't take your love to town
She's leaving now 'cause I just heard the slamming of the door
The way I know I've heard it slam one hundred times before
And if I could move I'd get my gun and put her in the ground
Oh, Ruby
Don't take your love to town
Oh, Ruby
For God's sakes turn around
আসলে এইসব, যা কিনা আদতে অপ্রয়োজনীয় জ্ঞানে মুছে ফেলার তাগিদ; সেই তাগিদ অন্দর থেকে বাহিরে আসে; এসে অনেক অত্যাগসহনকেই ত্যাগ করতে বলে; হেডোনিষ্টিক সব নীডসের ত্যাগের যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে চলা এমন কোনো সহজ কাজ নয়, আর সেই ত্যাগ কোনোকিছুর শরণ নিতে বলে, যেখানে উদ্বৃত্ত সময়টাকে পোড়ানো যায়। অক্সিদেন্তাল, তোরা কিন্তু রাস্তা পেয়েছিলিস মাঝে, হারিয়ে ফেললি কেন! দুটো রাস্তা আলাদা, কল, রিজ সব আলাদা, কিন্তু সামিট? – সে তো একই জায়গায় ছিলো ভাই –
From a distance, the world looks blue and green
And the snow-capped mountains white
From a distance, the ocean meets the stream
And the eagle takes to flight
From a distance, there is harmony
And it echoes through the land
It's the voice of hope
It's the voice of peace
It's the voice of every man
From a distance, we all have enough
And no one is in need
And there are no guns, no bombs, and no disease
No hungry mouths to feed
From a distance, we are instruments
Marching in a common band
Playing songs of hope
Playing songs of peace
They're the songs of every man
God is watching us
God is watching us
God is watching us
From a distance
From a distance, you look like my friend
Even though we are at war
From a distance, I just cannot comprehend
What all this fighting's for
From a distance, there is harmony
And it echoes through the land
And it's the hope of hopes
It's the love of loves
It's the heart of every man
It's the hope of hopes
It's the love of loves
This is the song for every man
And God is watching us
God is watching us
God is watching us
From a distance
Oh, God is watching us
God is watching
God is watching us
From a distance
সব ভোগের প্রবৃত্তি যথেষ্ট হলে, তাকে পুড়িয়ে হাল্কা হলে ‘পর নিবৃত্তি আসে; মুক্তিমন্ত্রের প্রতি আগ্রহ জাগে; - চল্ তো দেখি, মালটা কি? পাহাড়ের যে স্লপে দাঁড়িয়ে ঠিক হচ্ছিলো পরবর্তী প্ল্যান, যার উত্তরে, ওরিয়েন্তালদের মিষ্টি হাসিঃ এবার দ্যাখ, খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ কর, আমরা কিভাবে মুক্তিমন্ত্র পেয়েছি। সব তোদের দেখানো যাবে না, যায় না বলেই যাবে না, স্যাম্পল দেখে কিছু অনুমান কর।
ওরিয়েন্তাল ঢালখানির ওপরের দিকে আঙুল ফ্যালে, সেই ঢাল বরাবর কিছুটা দূর উঠে গেলেই মেঘমন্দ্রস্বরের উচ্চারণঃ নাও, টেক দিস –
কা তব কান্তা কস্তে পুত্রঃ
সংসারোহয়মতীববিচিত্রঃ।
কস্য ত্বং বা কুতঃ আয়াতঃ তত্ত্বং চিন্তয় তদিদং ভাতঃ।।
ভজ গোবিন্দং ভজ গোবিন্দং গোবিন্দং ভজ মূঢমতে।
মা কুরু ধনজনযৌবনগর্বম্ হরতি নিমেষাৎ কালঃ সর্ব্বম্।
মায়াময়মিদমখিলং হিত্বা ব্রহ্মপদং প্রবিশাশু বিদিত্বা।।
ভজ গোবিন্দং ভজ গোবিন্দং গোবিন্দং ভজ মূঢমতে।
নলিনীদলগতজলমতিতরলং তদ্বজ্জীবনমতিশয়চপলং।
ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকা ভবতি ভবার্ণবতরণে নৌকা।।
ভজ গোবিন্দং ভজ গোবিন্দং গোবিন্দং ভজ মূঢমতে।
কা তব কান্তা কস্তে পুত্রঃ সংসারোহয়মতীববিচিত্রঃ।
কস্য ত্বং বা কুতঃ আয়াতঃ তত্ত্বং চিন্তয় তদিদং ভাতঃ।।
ভজ গোবিন্দং ভজ গোবিন্দং গোবিন্দং ভজ মূঢমতে।।
...কি রে অক্সিদেন্তাল, কিছু বলবি, বাবা?
অনিন্দ্য ঘোষ ©
ফটোকার্টসিঃ গুগল ইমেজেস ।
ঋণঃ আমি সজ্ঞানে বা অজান্তেই একপ্রকার, আমার বাক্যের শুরু, মাঝখান বা শেষে, বহু গায়ক / গায়িকার গানের অংশ, অনেকসময় কবিতার কোনো অংশ, কারোর গদ্যের কোনো অংশ, নামকরণ ইত্যাদি প্রভৃতি ব্যবহার করে ফেলি। এখানেও যদি করে থাকি, তো, সেইসব কবিদের, গদ্যকারদের আর গানের ক্ষেত্রে, গানের গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক / গায়িকা ও সেইসব গানের অংশভুক সকলকে।
No comments:
Post a Comment